নয়া দিল্লি: বাংলায় আসন সমঝোতা নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের আলোচনা এগোচ্ছে বলে দাবি করলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। মঙ্গলবার ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রার ফাঁকে গুয়াহাটিতে সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল বলেন, আলোচনার ফলাফল নিয়ে আমি এখানে কিছু বলব না। তবে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুব ভালো। কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ভালো। রাহুল আরও বলেন, দুই দলেরই কেউ কেউ নানা কথা বলছেন। তার কোনও প্রভাব পড়বে না সমঝোতার আলোচনায়। জোট নিয়ে তৃণমূল এবং কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে যে বাগযুদ্ধ চলছে, তারপর এদিন রাহুলের মন্তব্য সেই যুদ্ধ থামানোরউ প্রয়াস বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সোমবার পার্কসার্কাসে সংহতি মিছিলের শেষে এক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, আমরা কংগ্রেসকে বলছি, আপনারা তিনশো আসনে লড়াই করুন। সেগুলিতে আমরা কেউ প্রার্থী দেব না। বাকি আসন আঞ্চলিক দলগুলিকে ছাড়তে হবে। তাদের গুরুত্ব দিতে হবে। মমতার আরও মন্তব্য, আমি ইন্ডিয়া জোটের নাম দিয়েছি। এখন দেখছি, সেই জোটের বৈঠক নিয়ন্ত্রণ করছে সিপিএম। সেটা আমি মানব না। তাই বৈঠকে গেলে আমার খুব কষ্ট হয়। ৩৪ বছর ধরে সিপিএম অনেক অত্যাচার করেছে। অনেক অপমান করেছে আমাকে। ওদের সঙ্গে আমি অনেক লড়াই করেছি। তৃণমূলনেত্রী নাম না করে রাহুলের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, একটা মন্দির দর্শন করেই হয়ে গেল নাকি।
গত কয়েক দিন ধরেই মমতা বাংলায় একা লড়াই করার কথা বলে আসছেন। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে নেত্রী বলেন, বহরমপুরে অধীর চৌধুরী কোনও ফ্যাক্টরই নয়। বিজেপির টিকিটে পাঁচবার জিতেছে। তিনি মুর্শিদাবাদের তিনটি আসন-সহ রাজ্যের ৪২টি আসনেই একা লড়াই করার জন্য দলকে প্রস্তুত থাকতে বলেন। মমতা ওই বৈঠকে আরও বলেন, আমরা কংগ্রেসকে দুটি আসন দেওয়ার কথা বলেছিলাম। ওরা আরও আসন চায়। বিধানসভায় ওরা শূন্য। ভোটও কমে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: রামরাজ্য তো হল, সীতার ‘অগ্নিপরীক্ষা’ বাজেট?
তার পাল্টা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, মমতা দুটো আসন দেওয়ার কে। আমরা নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী একা লড়াই করব। তার মানে সব আসনেই প্রার্থী দেব, এমন নয়। তিনি মমতাকে বহরমপুরে দাঁড়ানোর জন্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, সাহস থাকলে বহরমপুরে দাঁড়ান, মালদহ দক্ষিণে দাঁড়ান। তৃণমূলের মাঝারি স্তরের নেতারা আবার অধীরকে আক্রমণ করে রোজই কিছু না কিছু বলছেন।
এই আবহে মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে রাহুল কার্যত জোটের বার্তাই দিলেন। তিনি বলেন, দুই দলেরই কেউ কেউ নানা কথা বলছেন। তাতে জাতীয় স্তরে সমঝোতার ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব পড়বে না। আঞ্চলিক স্তরে কিছু সমস্যা থাকলেও তা নিয়ে আলোচনা হবে। তার মধ্যেই রাহুল ওই কথা বলার আগে মমতার গতকালের মন্তব্য নিয়ে অধীর এদিন বহরমপুরে বলেন, ওইসব মমতার বাহানা। সিপিএম তো প্রথম থেকেই ইন্ডিয়া জোটে আছে। মমতা তো এসব কথা আগেই বলতে পারতেন। আসলে তিনি জোট চান না বিজেপিকে খুশি করতে। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন আবার বলেন, রাহুল গান্ধীকে নিয়ে তো সমস্যা নেই। সমস্যা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে নিয়ে। তিনি আমাদের নেত্রী সম্পর্কে রোজ যা খুশি তাই বলছেন। অধীর কখনও সিপিএম, কখনও আরএসএস, কখনও বিজেপির হাতে খেলছেন। তাঁর জন্য বিজেপির সুবিধা হবে। রাহুল গান্ধীর বিষয়টা দেখা উচিত।
আরও অন্য খবর দেখুন
(এই খবরটি সবেমাত্র দেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত খবরটি কিছু ক্ষণের মধ্যেই আসছে। অপেক্ষা করুন। পাতাটি কিছু ক্ষণ পর পর রিফ্রেশ করুন। আপডেটেড খবরটি আপনি দেখতে পাবেন। অতি দ্রুততার সঙ্গে এবং সঠিক খবর আমরা আপনাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। সেই জন্যই যে কোনও ‘খবর’ পাওয়ার পর, তার সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই আমরা তা প্রকাশ করি এবং বিস্তারিত ঘটনা জানাই। ফেক নিউজ বা ভুয়ো খবরের রমরমার সময়ে এটা আরও বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে। কলকাতা টিভি সম্পূর্ণ নির্ভুল তথ্যতে বিশ্বাসী, সেই কারণে নির্ভুল এবং সঠিক খবর আপনাদের কাছে যথাযথ ভাবে পৌঁছে দিতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। এখন কলকাতা টিভি অনলাইনে আপনি খবর শুনতেও পাবেন। খবর শোনার জন্য আমাদের পডকাস্ট নিউজ-‘পডকা’-তে ক্লিক করুন।)