তাঁকে নিজেদের দলের জার্সি পরাতে চেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনাও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের স্ট্রইকার আর্লিং হালান্ড যোগ দিতে চলেছেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটিতেই। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হাল্যান্ডের সঙ্গে তাদের চুক্তি চূড়ান্ত হয়ে গেছে। আগামি পয়লা জুলাই নরওয়ের এই স্ট্রাইকার যোগ দেবেন সিটিতে। তাঁর সঙ্গে সিটির চুক্তি পাঁচ বছরের। নরওয়ের হাল্যান্ড এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার। ডর্টমুন্ডের হয়ে ৮৮ ম্যাচে ৮৫টি গোল করেছেন তিনি। চলতি মরসুমে বুন্দেশলিগায় তাঁর গোল সংখ্যা ২১। এ বছর বুন্দেশলিগায় ডর্টমুন্ড দ্বিতীয় হয়েছে। এর পিছনে হাল্যান্ডের বড় অবদান আছে। রফুট চার ইঞ্চি উচ্চতার হাল্যান্ড ডর্টমুন্ডে যোগ দিয়েছিলেন ২০২০ সালে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ এবং উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি বেশ ভাল খেললেও একজন প্রকৃত স্ট্রাইকারের অভাবে তারা ভুগছে অনেক দিন ধরেই। গত বছর তারা সের্গেই অগুয়েরোকে ছেড়ে দেয়। তারপর থেকেই চলছিল স্ট্রাইকারের খোঁজ। টটেনহাম হসপারের হ্যারি কেনের জন্য ঝাঁপিয়েছিল সিটি। কিন্তু টটেনহাম তাঁকে ছাড়েনি। সিটিতে যাঁরা গোল করেন সেই গ্যাব্রিয়েল জেসুস, রহিম স্টার্লিং কিংবা মাজেদ মাহরাজরা কেউ নাম্বার নাইন স্ট্রাইকার নন। তাই বাধ্য হয়েই কোচ পেপ গুয়েরদিওলাকে ফলস নাইন দিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছিল। এত দিনে সেই সমস্যা মিটতে চলেছে বলেই সিটি টিম ম্যানেজমেন্টের আশা।
হাল্যান্ড ফ্রি প্লেয়ার ছিলেন না। তাঁর সঙ্গে ডর্টমুন্ডের চুক্তি শেষ হতে এখনও এক বছর বাকি ছিল। তাই হাল্যান্ডকে নিতে সিটিকে বড় অঙ্কের ট্রান্সফার ফি দিতে হয়েছে ডর্টমুন্ডকে। হাল্যান্ডকে এখন ডর্টমুন্ড সপ্তাহে বেতন দেয় ১, ৩২, ০০০ পাউন্ড। সিটিতে হাল্যান্ড পাবেন ৫,০০,০০০ পাউন্ড। সব মিলিয়ে তাঁর বাৎসরিক রোজগার হবে বছরে ২৬ মিলিয়ন পাউন্ড। সিটিতে বেলজিয়ামের কেভিন ডে ব্রুইন ছাড়া এত বেতন আর কারুর নয়। হাল্যান্ডের জন্ম ইংল্যান্ডের লিডসে একুশে জুলাই, ২০০০। তাঁর বাবা আলফি হাল্যান্ড সেই সময় লিডস ইউনাইটেডে খেলতেন। পরে তিনি যোগ দেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটিতে। তাই হাল্যান্ডের সিটিতে যোগ দেওয়ার পিছনে তাঁর বাবার সিটি যোগও একটা কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।