কলকাতা: প্রাথমিকে ১০ হাজার ৫০০ জন শিক্ষক নিয়োগ হবে রাজ্যে। পুজোর আগেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। পাশাপাশি, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি রাজ্য জুড়ে নেওয়া আড়াই লক্ষ টেট পরীক্ষার্থীর পরীক্ষার ফল পুজোর আগেই প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছেন মানিকবাবু।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পরেই শিক্ষক নিয়োগের তৎপরতা শুরু করে দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পুজোর আগে মোট ১০ হাজার ৫০০ শূন্যপদে শিক্ষক নেওয়া হবে। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩১ হাজার ৫০০ জনের মধ্যে থেকে ১০ হাজার ৫০০ জনকে নিয়োগ করা হবে। আগামী মঙ্গলবার কাউন্সেলিং সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন না অফলাইন কোন পদ্ধতিতে কাউন্সেলিং হবে তা স্পষ্ট করেননি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি। মঙ্গলবার জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তিতে যাবতীয় তথ্য থাকবে বলে জানিয়েছেন মানিকবাবু। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রাথমিকে ৫ হাজার ৬৫৬ জন শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে।
আরও পড়ুন: অমিতকে পেট পুরে খাইয়ে অর্ধাহারে বাসুদেব বাউল
২০২১-এর জানুয়ারিতে রাজ্যে তৃতীয় টেট পরীক্ষা হয়েছিল। পরীক্ষা দিয়েছিলেন আড়াই লক্ষ পরীক্ষার্থী। সেই পরীক্ষার ফল পুজোর আগেই প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি।
কয়েকদিন আগে টেট উত্তীর্ণদের আজীবন বৈধ শংসাপত্র দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে এনসিটিএ। তবে তা প্রস্তাব বলেই এ দিন জানিয়েছেন মানিকবাবু। রাজ্য সরকারই সার্টিফিকেট আজীবন বৈধতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। সরকারের তরফে যা নির্দেশ দেওয়া হবে সেই মতোই কাজ হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন পর্ষদ সভাপতি।
বিধায়ক হয়ে কি একটি স্বশাসিত সংস্থার মাথায় থাকা যায়? সেই প্রশ্নের উত্তরে মানিকবাবু জানান, এর আগে এ ধরনের উদাহরণ অনেক আছে। নির্দিষ্ট আইনও রয়েছে বলে জানান তিনি।