বাঁকুড়া: এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার কোতুলপুরে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম সহদেব খাঁ (৪৫)। বাড়ি বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার কোটালদিঘি ঢকপাড়া এলাকায়। মৃত ব্যক্তি বিজেপির কর্মী বলে দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে গেরুয়া শিবির। ওই বিজেপি কর্মীকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামে বিজেপি নেতৃত্ব।
বাঁকুড়া শহরের কেরানিবাঁধে ওই বিজেপি কর্মীকে খুন করেছে তৃণমূল, এই অভিযোগ তুলে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় রাস্তা অবরোধ করে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ও বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়কের নেতৃত্বে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বেশ খানিকক্ষণ বিক্ষোভ করেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিস দোষীদের গ্রেফতার না করতে পারলে বাঁকুড়া স্তব্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: Kharagpur: খড়্গপুরে শুটআউট, খুন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী
এর পাশাপাশি সোমবার রাতে বিষ্ণুপুর শহরে মোমবাতি মিছিল করে কোতুলপুরের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে রাস্তায় নামে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির দাবি, সহদেব দলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ভোট পরবর্তী তৃণমূলের সন্ত্রাসের জেরে ঘরছাড়া হয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বাড়ি ফেরার পরেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সহদেব খাঁকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে, এই অভিযোগ তুলে দোষীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
অন্যদিকে, সহদেব খাঁ তৃণমূলের কর্মী ছিলেন। তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেই থেকে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। পুলিস তদন্ত করছে। এই ঘটনাকে নিয়ে ঘোলাজলে মাছ ধরতে নেমেছে বিজেপি বলে দাবি করেছেন বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শ্যামল সাঁতরা।
সোমবার সকালে কোতুলপুর থানার পুলিস পাথরচটি এলাকার একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহটি উদ্ধার করে। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃত ওই ব্যক্তির ময়নাতদন্ত করা হয়েছে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে। ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে ময়নাতদন্তের। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে কোতুলপুর থানার পুলিস। পুলিস প্রাথমিকভাবে মনে করছে, এটা আত্মহত্যার ঘটনা। মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি।
পরিবারের দাবি, একসময় তিনি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বর্তমানে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না। তবে ঝুলন্ত দেহ দেখে তাঁদেরও সন্দেহ রয়েছে। যদিও থানায় এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি মৃতের পরিবার।