লালগড়: আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও শুক্রবার লালগড়ের নেতাই গ্রামে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে যেতে পারলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। লালগড় ঢোকার আগেই ঝিটকা এলাকায় পুলিস শুভেন্দু অধিকারীকে আটকে দেয়। তিনি পুলিসকর্মীদের হুমকি দিয়ে বলেন, আপনাদের বিরুদ্ধে আমি মামলা করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাদের বাঁচাতে পারবে তো! আমার অধিকার রয়েছে, মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট আমাকে নেতাই গ্রামে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল।
তিনি বলেন, ২০১১ সালে নেতাই গ্রামে এসে আমি লাশ পুড়িয়েছিলাম। শহীদ পরিবার ও আহতদের সঙ্গে আমার একটা আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমি আমার ব্যক্তিগত পয়সায় নেতাই গ্রামের ওই শহীদ বেদি তৈরি করেছি, রাজ্য সরকার তৈরি করেনি, তৃণমূল কংগ্রেসও তৈরি করেনি। তিনি তীব্র ভাষায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন। সেই সঙ্গে পুলিসকেও আক্রমণ করেন।
পুলিসকর্মীদের তিনি আরও বলেন, আপনাদের গায়ে মানুষের কোনও রক্ত আছে কি? যদি আপনাদের গায়ে মানুষের রক্ত থাকত, তাহলে আমাকে নেতাই যেতে বাধা দিতেন না। নেতাই যেতে না পেরে ঝিটকা এলাকা থেকে হেঁটে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী থানার ভীমপুর এলাকায় একটি শহীদ বেদি তৈরি করে নেতাইয়ের শহীদদের শ্রদ্ধা জানান শুভেন্দু। তবে সেই অনুষ্ঠানে নেতাইয়ের শহীদ পরিবারগুলির কেউ ছিলেন না। সেদিনের জখমরাও কেউ শামিল হয়নি, এমনকী নেতাই গ্রামের কেউ উপস্থিত হননি।
আরও পড়ুন- নেতাইয়ে রাজনীতির চেষ্টা শুভেন্দুর, শহীদ দিবস পালন তৃণমূলের