বহরমপুর: কলেজে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি মেয়ে৷ অনেক খোঁজাখুঁজির পর হদিস না মেলায় থানায় অপহরণের অভিযোগ জানান বাবা-মা৷ কিছুদিন পর তরুণীর খোঁজ পাওয়া গেল বটে৷ পুলিস জানতে পেরেছে, ওই তরুণী রাজস্থানে আছেন৷ দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে সংসার পেতেছেন৷
এ ব্যাপারে বাড়ির লোকের কোনও প্রতিক্রিয়া যায়নি৷ তবে এলাকায় কানাঘুষো শুরু হয়ে গিয়েছে৷ পাড়া-প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দু’বছর আগেই মেয়েটির বিয়ে হয়৷ পরিবারে তেমন অশান্তি হত না৷ তাহলে কী এমন হল যে বাবা-মা, স্বামী-সংসার সব ছেড়ে ছুড়ে রাজস্থানে আরও একটা বিয়ে করল? যদিও তরুণীর বাবা-মা প্রথম থেকেই বলে আসছিলেন, তাঁদের মেয়েকে ফুঁসলিয়ে অপহরণ করা হয়েছে৷ গত ১০ এপ্রিল বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজে মার্কশিট জমা দিতে উদয়চাঁদপুরের গ্রামের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন এমএ পাঠরতা তনুশ্রী মণ্ডল৷ সে দিন মায়ের সঙ্গে ফোনে কথাও হয়৷ তারপর থেকেই আর খোঁজ মিলছিল না তাঁর৷ পরেরদিন বহরমপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তনুশ্রীর বাবা তপন মণ্ডল৷ ছয়-সাতদিন কেটে যাওয়ার পরেও মেয়ের খোঁজ না মেলায় বহরমপুরের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীর কাছে ছুটে যান বাবা-মা৷
সব শুনে অধীর চৌধুরী মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান এবং ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন৷ মঙ্গলবার অধীর চৌধুরী বলেন, ‘রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় খুন ও ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই যাচ্ছে৷ এরপর অপহরণ শুরু হবে৷ তবে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না৷’ এ দিকে নিখোঁজ ছাত্রীর মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করেই তাঁর হদিস পায় পুলিস৷ জানা গিয়েছে, তনুশ্রী এখন রাজস্থানে৷ সেখানে এক যুবককে বিয়ে করেছেন৷ প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানতে পেরেছে, ফেসবুকের মাধ্যমে ওই যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় তরুণীর৷ সে স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছে না কি কারও কথায় প্রভাবিত হয়ে এমনটা করেছে তা নিয়ে কিছু জানায়নি পুলিস৷ তনুশ্রীকে ফিরিয়ে আনতে রাজস্থান যাচ্ছেন বাবা-মা৷ সঙ্গে যাচ্ছে বহরমপুর থানার পুলিসের একটি টিম৷