সিউড়ি: বুধবার দেউচা পাঁচামি প্রস্তাবিত কয়লা খনি অঞ্চলে পৌঁছতে পারলেন না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এদিন চাঁদা মোরে কংগ্রেস কর্মীরা যাচ্ছিলেন। আর তাদের থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে ছিলেন অধীর চৌধুরী। হঠাতই তাদের পথ আটকায় জমি জীবন জিবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভার মঞ্চ। যদিও এই বিষয় অস্বীকার করেছেন অধীর চৌধুরী।
বুধবার, দেউচা পাঁচামি প্রস্তাবিত কয়লাখনি এলাকার আদিবাসী ও বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করতে ডেউচা পৌঁছন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। তারা কথা বললেন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে । কিন্তু কয়লাখনি যাওয়ার পথে তাদের পথ আটকায় আদিবাসীরা। ফলে কয়লা খনি এলাকায় ঢুকতে পারেননি অধীর চৌধুরী । এদিন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়কদের প্রতিনিধি দলেরও যাওয়ার কথা রয়েছে দেউচা পাঁচামিতে।
বীরভূমের দেউচা পাঁচামিতে তৈরি হতে চলেছে দেশের সর্ববৃহৎ কয়লা খনি৷ এই প্রকল্পে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হওয়ার কথা৷ তাতে কর্মসংস্থান হবে লক্ষাধিক মানুষের৷ রাজ্য সরকারের এই কয়লা খনি-বন্দর প্রকল্পে সাধারণ মানুষের সমস্যা হবে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা৷ যদিও ইতিমধ্যে দেউচা পাঁচামির জমিদাতাদের নবান্নে ডেকে ক্ষতিপূরণ এবং চাকরি দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। মাসখানেক আগেই ২০৩ জনকে জমির পাট্টা ও চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু প্রথম থেকেই ওই প্রকল্পের বিরোধিতায় আন্দোলনে নেমেছে বীরভূম জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভা। তাদের সঙ্গে নবান্নে বুধবার বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সংগঠনের ৯ জন প্রতিনিধি সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার পরও জট কাটেনি। এমনকি সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো বীরভূম জেলা প্রশাসন মহম্মদ বাজার ব্লকের জমিদাতাদের হাতে পুনর্বাসন প্যাকেজ এবং চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার জন্য দেওয়ানগঞ্জের মাঠে একটি সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। বিক্ষোভের কারণে বাতিল হয়ে যায় ওই অনুষ্ঠানও। এর মধ্যেই দেউচায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। কিন্তু বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরে আসেন তিনি।