কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: বৃহস্পতিবার থেকে খুলতে চলেছে রাজ্যের স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। তার আগে জোরকদমে চলছে স্কুলবাড়িগুলি পরিষ্কার ও স্যানিটাইজেশনের কাজ।
রাজ্য সরকারের দেখানো পথেই হাঁটছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার থেকে বিশ্বভারতীতেও শুরু হচ্ছে পঠন-পাঠন। অষ্টম শ্রেণি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত শুরু হচ্ছে স্বাভাবিক ক্লাস। এই মর্মে বিশ্বভারতীর নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বীরভূমের বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বিদ্যালয়ের ক্লাসঘর থেকে স্কুল চত্বরে চলছে স্যানিটাইজেশনের কাজ। প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় সাধু জানান, অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শুরু হচ্ছে পঠনপাঠন। তার আগে স্যানিটাইজেশনের কাজ চলছে। ছাত্ররা যখন স্কুলে আসবে তখন প্রথমেই থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে। মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়াও বিদ্যালয় তরফ থেকে সাবান ও পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বীরভূমের মতো বাঁকুড়া জেলার স্কুলে স্কুলে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। চলছে স্কুলের ক্লাসরুম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ, চলছে স্যানিটাইজ করার কাজ। বুধবারের রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পঠন-পাঠন।
বাঁকুড়ার এক স্কুলছাত্রী বলে, অনলাইন ক্লাস করতে খুব সমস্যা হচ্ছিল। অনলাইনে পড়া বোঝার সমস্যা হয়। ইন্টারনেটের সমস্যার জন্য মাঝে মধ্যেই পড়ায় বিঘ্ন ঘটে। অনেক দিন পর আবারও স্কুল খুলছে। ক্লাসে বসে বন্ধুদের সঙ্গে পড়াশোনা করার মজাটাই আলাদা।
স্কুল খোলার পূর্বপ্রস্তুতি চোখে পড়ল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের নেপালিপাড়া হাইস্কুলেও। পূর্ব মেদিনীপুরেও স্কুল খোলার আগে পরিষ্কারের কাজ চলছে। তমলুক থানার অন্তর্গত কাকগেছিয়া সত্যনারায়ণ উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস রুম গুলিকে পরিষ্কার করা হচ্ছে। ক্লাসরুম সব ঠিকঠাক আছে কি না, তা নিশ্চিত করতে বুধবার শিক্ষকরা স্কুল পরিদর্শন করতে আসেন।
একই পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গেও। ধূপগুড়িসহ বিভিন্ন এলাকার স্কুলগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। ধূপগুড়ি হাইস্কুল, খট্টিমারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সর্বত্র একই ছবি। শিক্ষকরা জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহিত করতে তাদের বরণ করা হবে।
বালুরঘাটে সরস্বতী পুজোর আগে পঠন-পাঠন শুরু হওয়ায় খুশি শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে অভিভাবক ও পড়ুয়ারা। বালুরঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, সরস্বতী পুজোর আগে সম্পূর্ণ করোনা বিধি মেনে শুরু হচ্ছে লেখাপড়া। দীর্ঘদিন বাদে বিদ্যালয় খোলায় খুশি সবাই। বিদ্যালয় খোলায় খুশি অভিভাবকরাও। তাঁরা জানান, দীর্ঘ দু’বছর ছাত্ররা মানসিক চাপে ছিল। এতদিনে তারা ফের বাহিরমুখো হবে।
আরও পড়ুন: School Reopening: স্কুলে স্কুলে চলছে স্যানিটাইজেশন, খুলেই সরস্বতী পুজোর প্রস্তুতি