বীরভূম: বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার (Balasore Train Accident) দেড়দিন কেটে গিয়েছে। এখনও নিখোঁজ বীরভূমের (Birbhum) পাইকর থানার কনকপুর গ্রামের তিন যুবক। দুর্ঘটনার দিন শালিমার থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express) ট্রেনে চড়ে কাজের উদ্দেশে চেন্নাই যাচ্ছিলেন কনকপুর গ্রামের বাসিন্দা সানাউল সেখ, রফিকুল সেখ ও শান্ত সেখ। যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। তারপর থেকেই ওই তিন যুবকের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে পরিবারের দাবী। এমনকি তাঁদের সঙ্গে থাকা মোবাইলেও কোন যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এদিকে তিন যুবকের খোঁজ না পাওয়ায় উৎকণ্ঠায় ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পরিবারের সদস্যেরা। ইতিমধ্যেই বালেশ্বর পৌঁছেছেন তাঁদের আত্মীয়রা কিন্তু সেখানে গিয়েও খোঁজ মেলেনি নিখোঁজ যুবকদের।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বালেশ্বরের বাহানাগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেস এবং চেন্নাইগামী শালিমার করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রথমে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express) লাইনচ্যূত হয়ে পাশের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িকে (Goods Train) ধাক্কা মারে। যার জেরে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কয়েকটি কামরা গিয়ে পড়ে পাশের ডাউন লাইনের উপরে। সেই সময় ওই লাইন দিয়ে আসছিল ডাউন বেঙ্গালুরু- হাওড়া এক্সপ্রেস। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের বেলাইন হওয়া কামরার সঙ্গে ধাক্কা লেগে সেই ট্রেনটিরও দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়। এখনও পর্যন্ত এই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহত কমপক্ষে ৯০০। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে যান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব-সহ রেলের আধিকারিকেরা। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী। কথা বলেন উদ্ধারকারীদের সঙ্গেও। কীভাবে এমন বিপর্যয়, তার জন্য রেলের তরফে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হবে বলে জানান রেলমন্ত্রী। রেলমন্ত্রী আরও বলেন, এটি বড় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রেল, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং ওড়িশা সরকার জোরকদমে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করা হবে। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে কলকাতা ও কটকে চিকিৎসা করানো হবে। এ ঘটনায় তদন্তের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তদন্তের পর এই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।