নয়াদিল্লি: অনেক টাকা ব্যয় করে মোদি সরকার (Narendra Modi Government) রেলকে (Railway) আধুনিক (Modernaisation) করেছে। কিন্তু নিরাপত্তা (Safety) সবচেয়ে বেশি দরকার। যদিও গত বেশ কয়েক বছরে রেলের দুর্ঘটনার (Rail Accident) সংখ্যা কমে এসেছে। তবে তাতে দেখা যাচ্ছে লাইনচ্যুত (Derailed) হওয়াই রেল দুর্ঘটনার (Rail Accident) প্রধান কারণ (Main Cause)।
রেলওয়ে ভারতের লাইফ লাইন (Life line)। বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যা ১৪০ কোটির দেশ ভারত। প্রতিদিন কোটি কোটি যাত্রী (Passenger) ট্রেনে যাতায়াত করেন। শুক্রবার রাতে ওডিশায় দুর্ঘটনায় দুটি যাত্রীবাহি ট্রেন ও একটি মালগাড়ি জড়িত। ১৯৯৯ সালের পর এটি সবচেয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা (Worst Accident) ভারতে। যে ঘটনায় ২৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৬ সালে ইন্দোর-পাটনা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ায় ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে দুটি মালগাড়ির সংঘর্ষ হয়। ওডিশা দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে তদন্ত চলছে। কোনও সিগন্যালের ভুলের জন্য করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে ট্র্যাক পরিবর্তন করতে হয়েছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে পরিসংখ্যান অনুযায়ী সম্প্রতিকালে ট্রেন দুর্ঘটনা আগের থেকে কমে এসেছে। ২০১৪-১৫ সালে ১৩৯টি ট্রেন দুর্ঘটনা হয়েছিল। সেই জায়গায় ২০১৯-২০ সালে দুর্ঘটনা হয়েছে ৫৫টি। সেখানেও লাইনচ্যুত হওয়াই দুর্ঘটনার মূল কারণ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার রেলকে আধুনিক ও উন্নীত করতে প্রচুর টাকা খরচ করছে। ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতের সব রেলপথকে বৈদ্যুতিকরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রেলওয়ে অ্যান্টি ট্রেন কলিসন সিস্টেম বা সংঘর্ষ রোধের প্রযুক্তির ব্যাপারে এগিয়েছে। যা ট্রেনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্রেক করবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মাত্র ২ শতাংশ রেলে তা লাগানো সম্ভব হবে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পূর্ব রেলে ওই ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে। তা এখনও করা যায়নি। যেখানে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটি ভারতের অন্যতম প্রাচীন রেলরুট। এই রুটে প্রচুর যাত্রী বহন করা হয়। তাছড়া তেল ও কয়লা বহন করা হয় ওই রুটে। সম্প্রতিকালে পরিকাঠামো নির্মাণে ও নিরাপত্তা উন্নীতকরণের জন্য প্রচর অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে। আধুনিক নতুন স্টেশন তৈরিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে উচ্চগতির বন্দেভারত এক্সপ্রেস চলাচলে। এছাড়া জাপানের বুলেট ট্রেনের অনুপ্রেরণায় ইলেকট্রিক ট্রেনে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গত শনিবারও মোদির নতুন উচ্চগতির ট্রেন উদ্বোধন করার কথা ছিল। যা গোয়া থেকে মুম্বই সংযোগ করবে। সেটি কলিসন অ্যাভয়ডেন্ট সিস্টেম বা সংঘর্ষ বিরোধী প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ট্রেন। ট্রেন দুর্ঘটনার পর সেটি বাতিল করা হয়। আধুনিকীকরণে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সেখানে ফাঁকি পড়ে যাচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যদিও রেলমন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানান, এখন একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু যদি নথি ধরেন দেখা যাবে কয়েক বছর ধরে বড় কোনও ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটেনি।