জলপাইগুড়ি: দুই চিতাবাঘের ধুন্ধুমার লড়াই। ভয়ে একটি চিতা উঠে পড়ল গাছের মগডালে। শত্রুকে বাগে না পেয়ে আড়ালে চা গাছের ঝোপ থেকে তখন অপরটির ভয়ঙ্কর তর্জন-গর্জন। কী মনে করে কিছুক্ষণ পর গাছের চিতাবাঘটি নামতেই ফের শুরু হয়ে যায় আর এক দফা লড়াই। শুক্রবার রাতে এমনই নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকল জলপাইগুড়ি (Jalpaigudi) জেলার মেটেলি ব্লকের (Meteli Block) ইনডং চা বাগান। বনকর্মীদের অনুমান, এলাকা দখলের কারণে দুই চিতাবাঘের মধ্যে এই লড়াই। তবে তারা নিজেদের মধ্যেই মারামারি করেছে। মানুষ দেখে কারও উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েনি।
চা বাগান সূত্রে খবর, রাত ৯টা নাগাদ ইনডং-এর অম্বাচপল লাইন নামে একটি মহল্লার শ্রমিকরা দুটি চিতাবাঘের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধেছে বলে টের পান। ঘটনাস্থলটি ওই শ্রমিক মহল্লার খুব কাছেই। ফলে আতঙ্ক ছড়ায়। বাগানের সি-টু সেকশনে তখন দুই চিতাবাঘের লড়াই চলছিল। ইনডং-এর শ্রমিক নেতা ও গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান সিনু মুন্ডার বাড়িও তার খুব কাছে। তা আবার চা বাগানের ডিরেক্টরস বাংলো থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে। বাগান পরিচালক সহ স্থানীয়দের তখন চক্ষু চড়কগাছ।
এদিকে, এদিনই মেটেলির কিলকোট চা বাগানে বনদফতরের পাতা খাঁচায় ধরা পড়ল একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘ। সপ্তাহ দুয়েক আগে বাগানের ১২ ও ১৩ নম্বর সেকশনের মধ্যবর্তী এলাকায় বন দফতরের তরফে ওই খাঁচা পাতা হয়।
আরও পড়ুন: Hospital Bed: শ্রীরামপুর মহকুমা হাসপাতালের বেড থেকে পড়ে মৃত্যু হল রোগীর
শনিবার ভোরে বাগানের বাসিন্দারা ওই এলাকায় চিতাবাঘের গর্জন শুনতে পান। কাছে গিয়ে দেখেন, একটি চিতাবাঘ খাঁচার মধ্যে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছে। খাঁচায় চিতাবাঘ ধরা পড়ার খবর চাউর হতেই বহু মানুষের ভিড় হয় তা দেখার জন্য। খবর দেওয়া হয় বন দফতরের খুনিয়া স্কোয়াডে। বনকর্মীরা এসে খাঁচা সহ চিতাবাঘটিকে গরুমারায় নিয়ে যান।
উল্লেখ্য, সপ্তাহ দুয়েক আগে কিলকোট (Kilkot Tea Garden) চা বাগানে ভাল্লুকের আতঙ্ক তৈরি হয়। বাগানে কাজ করার সময় শ্রমিকরা ভাল্লুক দেখতে পান বলে দাবি করেন। ওইদিনই বনকর্মীরা এসে ভাল্লুকের খোঁজ চালালেও কোনও হদিস মেলেনি।এরপর ভাল্লুক ধরার জন্য বনদফতরের তরফে খাঁচা বসানো হয়। ভাল্লুক ধরার জন্য বসানো খাঁচায় এদিন ওই চিতাটি ধরা পড়ে বলে জানা গিয়েছে। চিতাটি সুস্থ থাকায় সেটিকে এদিনই গরুমারা জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।