বিষ্ণুপুর: হাজার পাঁচেক টাকা দিন। ভিতরে ভিতরে আপনার মেয়েকে দশম শ্রেণিতে তুলে দেব, কাউকে বলবেন না। এক অভিভাবকের কাছে নবম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করতে প্রধান শিক্ষিকার টাকা চাওয়ার অডিও ভাইরাল। যদিও অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি ডিজিটাল। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শিবদাস সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুলে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিষ্ণুপুরে। স্কুলের ভুলের কারণে এই ঘটনা। কোনও টাকা চাওয়া হয়নি অভিভাবকের কাছে সাফাই প্রধান শিক্ষিকার। ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শিক্ষা দফতর ও থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন অভিযোগকারী অভিভাবক।
সম্প্রতি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শিবদাস সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুলের এক ছাত্রী শারিরিক অসুস্থতার কারণে নবম শ্রেণিতে পরীক্ষা দিতে পারেনি এবং স্কুলেও উপস্থিত থাকতে পারেনি। ছাত্রীর দাবি, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার কাছে শারীরিক অসুস্থতার শংসাপত্র দিয়ে নবম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার আবেদন জানায়। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রাজিও হয় এবং দশম শ্রেণিতে ওই ছাত্রীকে উত্তীর্ণ করে দেয়। ওই ছাত্রী স্কুলের দশম শ্রেণির ভর্তি ফিস জমা দিয়ে স্কুল থেকে দশম শ্রেণির বই সংগ্রহ করে ক্লাসেও যোগ দেয় ওই ছাত্রী।
আরও পড়ুন: Advocate Sanjay Basu | আইনজীবী সঞ্জয় বসুকে ইডি সমনের উপর স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
কিন্তু তিন মাস পর ওই ছাত্রী স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জানতে পারে, সে দশম শ্রেণিতেই নয়, নবম শ্রেণিতেই রয়েছে। এই বিষয় সামনে আসার পরেই সরব হয় ওই স্কুল ছাত্রী ও তার অভিভাবক। তাঁদের দাবি, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নবম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার জন্য একটি সংস্থার নাম করে তাদের কাছে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন। সেই টাকা না দেওয়ার কারণে তাঁকে আবার দশম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে নামিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ। প্রধান শিক্ষিকা ও ছাত্রীর অভিভাবকের কাছে টাকা চাওয়ার অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হওয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে নেট দুনিয়ায়।
যদিও টাকা চাওয়ার বিষয় অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা মধুমিতা কুণ্ডু। তাঁর দাবি, এখানে টাকা চাওয়ার কোনও বিষয় নেই। উত্তীর্ন বিষয় নিয়ে শিক্ষিকার দাবি, এটা স্কুলের ভুলেই হয়েছিল। ভুল নজরে আসার পরে তা ঠিক করা হয়েছে। ওই ছাত্রী সহ আরও বেশ কয়েকজনকে দশম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে রাখা হয়েছে। পুরো বিষয় খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে শিক্ষা দফতর।