বোলপুর: অনুব্রত (Anubrata Mondal) কন্যাকে (Sukanya Mondal) ফের তলব ইডির (ED)। আগামী ২০ মার্চের (March) মধ্যে ইডির দফতরে তাঁকে ফের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। বুধবার ১৫ মার্চ দিল্লিতে (Delhi) ইডির অফিসে হাজির দেওয়ার কথা ছিল সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal)। কিন্তু সেই হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। বদলে আরও কিছুদিন সময় চেয়ে নেন। এর পরেই আগামী ২০ মার্চের মধ্যে তাঁকে ফের ইডি দফতরে তলব করা হয় । অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) বর্তমানে ইডি হেফাজতে রয়েছেন। তাঁর হিসেব রক্ষক মণীশ কোঠারিকেও (Manush Kothari) এদিন নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে কেন্দ্ৰীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, অনুব্রত, সুকন্যা এবং মণীশকে মুখোমুখী বসিয়ে জেরা করা হতে পারে।
এর আগে কেষ্ট মণ্ডল সিবিআইয়ের (CBI) ডাকে ১০ বার হাজিরা এড়িয়েছেন। হাজিরা এড়ানোর জন্য বাড়ি থেকে অনুব্রতকে সিবিআই তুলে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করে। এবার তাঁর মেয়েও একই কাণ্ড ঘটান। রাজনৈতিক মহলের মতে, বাবার মতো মেয়েও বারবার হাজিরা এড়িয়ে গেলে তিনিও বিপাকে পড়তে পারেন।
এদিকে, বুধবারেই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে (Manish Kothari) পাঁচদিন ইডির (Ed) হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ (Rouse Avenue) আদালত। মঙ্গলবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্ধ্যা সওয়া সাতটা (7.15Pm) নাগাদ মণীশকে গ্রেফতার করে ইডি। সাত দিনের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পাল্টা মণীশের শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। কিন্তু মণীশের আইনজীবীর দাবি খারিজ করে আদালত তাঁকে পাঁচদিন হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।
প্রসঙ্গত, গরু পাচারের (Cow Smuggling) কোটি কোটি টাকা অনুব্রত তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের মারফত হাতবদল করেছেন বলে অভিযোগ। বাকি আরও ১০ জন অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কেন্দ্রীয় এজেন্সির তলবের তালিকায় রয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন অনুব্রতর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার মলয় পিঠ। অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী অর্ক দত্ত, তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা রাজীব ভট্টাচার্য। ফলে এরকম এক ডজন লোককে এই ১১ দিনের হেফাজতে থাকাকালীনই ডাকা হবে, এমনটাই জানা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে।