পুরুলিয়া: জেলায় আদিবাসী কুড়মি (Kurmi) সমাজের আন্দোলনের জেরে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। তার জেরেই কুড়মি নেতাদের নিয়ে বৈঠকে করলেন জেলা তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। পাশপাশি আদিবাসী কুড়মি সমাজ ও পূর্বাঞ্চল আদিবাসী কুড়মি সমাজও নেতৃত্ব পৃথকভাবে বৈঠক করে মঙ্গলবার।
পুরুলিয়া জেলায় গত ২৪ ও ২৫ তারিখ ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে এসে তৃণমুলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা নেতৃত্বকে আদিবাসী কুড়মি সমাজের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দেন। সেইমতোই এদিন জেলা পরিষদের মিটিং হলে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব বৈঠকে বসেন কুড়মি সমাজের সঙ্গে। সেখানে মূলত সিআরআই রিপোর্টে রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে, সেই বিষয়ে কুড়মি নেতাদের বিস্তারিত জানানো হয়।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee | Bayron Biswas | বায়রনের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটির সাধারন সম্পাদক শান্তিরাম মাহাত, জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান হংশেস্বর মাহাতো, হুরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রসেনজিৎ মাহাতো, পূজা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৃষ্ণ মাহাতো সহ দলের অন্যান্য কুড়মি নেতৃত্ব। যদিও বাঘমুণ্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাত এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন।
এদিকে কুড়মি আন্দোলনের ইস্যুতে পূর্বাঞ্চল আদিবাসী কুড়মি সমাজ নিজেদের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশন স্কুলে। আগামিদিনে কীভাবে আন্দোলন হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে। কুড়মিদের অন্যতম দাবি হল, তাদের তফসিলি উপজাতি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এই দাবি থেকে যে তাঁরা সরে আসবেন না, তা বৈঠকে পরিষ্কার জানিয়ে দেন কুড়মি নেতারা। পাশাপাশি দাবি করা হয়, গত শুক্রবার অভিষেকের কনভয়ের হামলার ঘটনাকে তারা সমর্থন করে না। এও জানানো হয়, তাদের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের কোনও বিরোধ নেই।
অন্যদিকে আদিবাসী কুড়মি সমাজের দফতরে জেলা কমিটি পৃথক বৈঠক করে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আগামিদিনে জঙ্গলমহলে আরও তীব্র ভাবে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।