পোস্টার বয় ইমেজ থেকে বলিউডি ছবিকে বের করে এনে কনটেন্ট নির্ভর করে তোলার নেপথ্যে আয়ুষ্মান খুরানার অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। কেরিয়ারের প্রথম ছবি ‘ভিকি ডোনার’ থেকেই অন্য ধারার বলিউডি ছবিকে প্রাধান্য দিয়েছেন আয়ুষ্মান। তাঁর ছবিতে কনটেন্টই শেষ কথা।
মুক্তির অপেক্ষায় আয়ুষ্মানের ছবি ‘চণ্ডীগড় করে আশিকি’। ছবির পরিচালক অভিষেক কাপুর। সদ্যই আয়ুষ্মানকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন অভিষেক। তাঁর মতে, বলিউড ইন্ডাস্ট্রি চিরকালই দু ভাগে বিভক্ত। প্যারালাল সিনেমা এবং ফুল অন এন্টারটেনমেন্ট সিনেমা। আয়ুষ্মান এই দুই ধারাকেই মিলিয়ে দিয়েছেন। তাঁর ছবি একদিকে যেমন অন্যধারার, তেমনই সেই ছবিতে বিনোদনেরও কোনও কমতি থাকে না। আয়ুষ্মানের ছবিতে প্রথম থেকেই কনটেন্ট শেষ কথা বলে। ডেবিউ ছবি থেকেই পরীক্ষানীরিক্ষায় জোর দিয়েছেন আয়ুষ্মান। স্টার সুলভ হাবভাব নয় বরং তিনি যেন প্রথম থেকেই ভক্তদের চোখে পড়ে গেছেন তাঁর আম আদমি সুলভ ব্যবহারের জন্য।
অভিষেকের ‘ চণ্ডীগড় করে আশিকি’-ও আয়ুষ্মানের কেরিয়ারের অন্যতম মাইলস্টোন হতে চলেছে। এ ছবিও কনটেন্ট নির্ভর। ছবিতে আয়ুষ্মান অভিনীত চরিত্রটির নাম মনু। প্রায় বছর দুয়েক ধরে মনুকে নিজের মধ্যে লালন করেছেন অভিষেক। আয়ুষ্মানকে চরিত্রটির অফার দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি প্রায় হাওয়ার মতো চরিত্রটির সঙ্গে মিশে গেছেন এবং নিজের ভাবনাচিন্তা দিয়ে নিজের মতো করে গড়ে তুলেছেন মনুকে। আয়ুষ্মানের এহেন গুণে তাঁর প্রতি একেবারে ফিদা অভিষেক!
আয়ুষ্মানের সঙ্গে জুটিতে কাজ করতে পেরেও দারুণ খুশি তাঁর পরিচালক। অভিষেকের মতে, তাঁরা দুজনই কাজ সম্পর্কে সমান প্যাশনেট। পুরনো, বস্তাপচা বিষয়-বস্তু নয়, বরং ছবির তৈরির ক্ষেত্রে তাজা বিষয়ই তাঁদের পছন্দ। ‘চণ্ডীগড় করে আশিকি’-র সেটে অভিষেক আর আয়ুষ্মান একে অন্যকে সব সময় ভাল কাজ করার অনুপ্রেরণা জুগিয়ে গেছেন। দর্শকদের তাঁদের যৌথ চেষ্টা যে ভাল লাগবেই তা নিয়েও এক রকম আশাবাদী অভিষেক কাপুর।