কলকাতা: ‘ডাকঘর’ ওয়েব সিরিজ নিয়ে বিতর্ক চলছেই। ওয়েব সিরিজটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথমবার নাম না করে মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। এবার অবশেষে মুখ খুললেন সুদীপ্তার স্বামী ‘ডাকঘর’ সিরিজের প্রাক্তন পরিচালক অভিষেক সাহা। সূত্রের খবর এই ওয়েব সিরিজের সঙ্গে প্রায় তিন বছর যুক্ত থাকার পর পরিচালক অভিষেক সাহা কে এই সিরিজ থেকে একরকম বাধ্য হয়েই সরে যেতে হয়। সুদীপ্তার পরে অরিত্র দত্ত বনিকের হাত ধরে বিতর্কে নাম জড়ায় সিনেমাটোগ্রাফার মৃন্ময় নন্দীর। মুখ খোলেন মৃন্ময় নিজেও। জানান তিনি অভিষেক সাহার সঙ্গে এই ওয়েব সিরিজের কাজ শুরু করেছিলেন। তবে সরিয়ে দেওয়া হয়, সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে তার নাম ব্যবহার করা হয়নি এবং পারিশ্রমিকও তিনি পাননি।
দীর্ঘদিন চুপ থাকার পর অবশেষে ফেসবুকের পাতায় লম্বা পোস্টে মুখ খুলেছেন পরিচালক অভিষেক। লিখেছেন “বন্ধু শুভাকাঙ্ক্ষী ও মিডিয়ার সাংবাদিকদের অনুরোধে প্রথম এবং শেষবারের জন্য কয়েকটা কথা ‘ডাকঘর’ নিয়ে। আমার নামে অভিযোগ উঠেছে আমি কেন চুপ? আমাকে যারা চেনেন, তারা জানেন আমি কথা কম বলি। আমি কাজেই বিশ্বাস করি। ঝগড়া করা কিংবা কাদা ছোড়াছুড়ি আমি ঠিক পছন্দ করি না। আমি লুকিয়ে পড়েছি-এই অভিযোগ সত্য নয়। আসলে আমি দু একদিন কলকাতার বাইরে ছিলাম। এরকম অত্যন্ত অপমানজনক ও দুঃখজনক ঘটনা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে ‘মুভ অন’ করতে চেয়েছিলাম, তাই চুপ ছিলাম। আজকের পর আবার চুপ-ই থাকতে চাই।
আরও পড়ুন: Avneet Kaur Hand Bag: অভিনেত্রীর হ্যান্ডব্যাগ,দাম প্রায় ৯ লাখ
তাঁর সংযোজন, “অনর্গল অনেক কথা বলতে না চাওয়ার মানে লুকিয়ে পড়া নয়। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৪ দিন শুটিং এর সুযোগ পেয়েও আমি গল্প দাঁড় করাতে পারিনি। বেশ কয়েক বছর ধরেই আমাদের, মানে, বাংলার পরিচালক / প্রযোজক দের এই যুদ্ধ করে যেতে হচ্ছে। কম সময়ে কম বাজেটে নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে কাজ করতে হয় আমাদের। মাঝে মাঝে নিজেদের খুব অসহায় লাগে। যেহেতু এর থেকে বেরোনোর কোনো উপায় আপাতত নেই, তাই প্রযোজক/পরিচালকরা আজকাল এমন বিষয় বা গল্প বাছেন, যাতে খুব কম সময়ে অনেক কম্প্রোমাইজ করেও মোটামুটি গল্প টা দাঁড় করিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু ডাকঘর এমন ছিল না। এত সুন্দর সব মুহূর্ত ছিলো সেই স্ক্রিপ্টে, যার প্রতি justice করে ১৬০ মিনিটে গল্পটা বলতে গেলে ১৪ দিনের কিছু বেশি সময় চাই আমার, শুরুতেই বারবার আর্জি জানিয়েছিলাম চ্যানেলের কাছে। কিন্তু তাঁরা রাজি হননি। প্ল্যান করেছিলাম, আমরা তাহলে দুটো ক্যামেরায় shoot করি, একটা বড়, একটা ছোট, কম সময়ে বেশি কাজ যাতে তুলতে পারি। সেইমতো বাজেট ধরা হয়। কিন্তু শেষ অবধি আমাদের দুটো ক্যামেরায় কাজ করতে দেওয়া হয়নি।”
অভিষেকের এই পোস্ট শেয়ার করে সুদীপ্তা লেখেন, “অবশেষে তিনি কথা বললেন।” অভিষেকের পোস্ট শেয়ার করে সিনোমাটোগ্রাফার মৃণ্ময় নন্দী লেখেন, “প্রেস-মিডিয়া বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে। কয়েকটা নন-সেন্স আছে, অযথা প্রশ্ন তোলে, good for nothing…পিষে মেরে ফেল অপদার্থগুলোকে।”