এক সময়ের বিশ্বের সবচেয়ে দামি অভিনেতা জনি ডেপ এখন এক প্রকার বেকার। তার প্রাক্তন স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের সঙ্গে বহুদিনের আইনি লড়াই কার্যত হলিউড ছবি চিত্রনাট্যের চেহারা নিয়েছে। ‘পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান’ এর ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারোর দুঃসময় শুরু হয়েছে ২০১৬ সালে অ্যাম্বার এর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে। মাত্র এক বছর দাম্পত্য জীবনের পর তাদের বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের সময় অভিনেত্রী অ্যাম্বার অভিযোগ করেছিলেন যে জনি ডেপ তাকে শারীরিক নির্যাতন করতেন। যা হলিউডে আলোচনা ঝড় তুলেছিল। তাদের পারস্পরিক দোষারোপের এতটাই কুৎসিত- কদর্য ছিল যা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল সারা দুনিয়ায়। অ্যাম্বার হার্ড শুধু শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেননি; তিনি বলেছিলেন, ভদকার বোতল নিয়ে যৌন নির্যাতন করেছেন ডেপ। বেশ কিছুদিন আগে জনি ডেপের ছবি ‘মিনামাটা’ নিয়ে ‘দ্যা সানডে টাইমস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘হলিউড আমাকে বয়কট করেছে’। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া হলিউডের নামিদামি এই হিরো অ্যাম্বার হার্ডের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ আনেন। তিনি ৫০ মিলিয়ন ডলারের মামলা দায়ের করেন হার্ডের বিরুদ্ধে। ৫৮ বছরের অভিনেতা অভিযোগ করে বলেন, পারিবারিক অশান্তির যে কথা অ্যাম্বার বলছেন তা একান্তই মন গড়া। এর কোন বাস্তব ভিত্তি নেই। পাল্টা ১০০ মিলিয়ন ডলারের মানহানি মামলা করেন অ্যাম্বার।
ইতিমধ্যেই ব্রিটিশ হাইকোর্টে একটি মানহানি মামলায় পরাস্ত হয়েছেন জনি। ব্রিটিশ আদালতে বিচারপতিরা তাদের রায়ে জানান স্ত্রীর উপর অত্যাচার অনেকটাই সত্য বলে প্রমাণিত। এখন মার্কিন আদালতে চলছে সেই মামলা।আদালতে চলছে পারস্পরিক কুৎসিত দোষারোপ। অন্যদিকে ওই মামলার সাক্ষী হিসেবে আদালতে হাটের প্রাক্তন অ্যাসিস্ট্যান্ট জেমসের জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। ভিডিও জবানবন্দিতে তিনি জানিয়েছেন অ্যাম্বার অত্যন্ত নেশা করতেন। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ভোর চারটের সময় পর্যন্ত অযাচিত টেক্সট মেসেজ পাঠাতেন। অন্যদিকে জনি ডেপ নাকি নিতান্তই ভদ্র ছিলেন। ওই প্রাক্তন অ্যাসিস্ট্যান্ট মেম্বারকে ‘নাটুকে মহিলা’ বলে বর্ণনা করেন। তবে আদালত এসব কথায় কতটা কর্ণপাত করেন তা দেখার। সব মিলিয়ে সভান জবাব নিয়ে এখন জমজমাট পরিস্থিতি। ক্যারিবিয়ান নাবিক জ্যাক স্প্যারোর বলিউডে বর্তমান- ভবিষ্যৎ যথেষ্ট দোদুল্যমান।