ওয়েলিংটন: জোরালো ভূমিকম্প অনুভূত হল নিউজিল্যান্ডে (Newzealand)। রিখটার স্কেলে (Magnitude 7.1 )যার মাত্রা ছিল ৭.১। তবে এতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বৃহস্পতিবার উত্তর নিউজিল্যান্ডের কার্মাডেক আইল্যান্ডে (Kermadec Islands) এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে অনুযায়ী, এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। ঘটনার পরে সুনামির (Tsunami) জন্য সতর্কতা জারি করা হয়। আইল্যান্ডের ৩০০ কিমি জুড়ে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়। ফলে যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। নিউজিল্যান্ড ভূমিকম্প (Earthquake) প্রবণ এলাকা। বিশ্বের দুটি বড় টেকটোনিক প্লেট দ্য প্যাসিফিক প্লেট ও অস্ট্রেলিয়ার প্লেটের সীমানায় অবস্থিত এই দেশ। বলা হয় ‘রিং অফ ফায়ারের’ মধ্যে অবস্থিত নিউজিল্যান্ড। প্রতিবছর হাজার খানেক ভূমিকম্প হয় এখানে। ছোট বড় মিলিয়ে ভূমিকম্পের ঘটনায় অভ্যস্ত এখানকার মানুষ।
সম্প্রতি বিধ্বংসী ভূমিকম্প দেখেছে বিশ্ব। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্কে ভূমিকম্পে ৫০ হাজার মানুষ প্রাণ হারান। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৭.৮। গত তিন দশকে সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী ভূমিকম্প ছিল এটি। বিভিন্ন টিম এখন সেখানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরিমাপ করছে। সেখানে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিমও রয়েছে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর রিস্কের ডিরেক্টর অধ্যাপিকা এমিলির নেতৃত্বে অনুসন্ধান চলছে। সার্বিক চিত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে বাড়িগুলি আস্ত রয়েছে সেগুলিও খতিয়ে দেখতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Weather Update | উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস, কবে আসছে কালবৈশাখী, জেনে নিন
এক রামে রক্ষা নেই সুগ্রীব দোসর। এখনও তুরস্ক কাটিয়ে উঠতে পারেনি ভূমিকম্পের আতঙ্ক। তারই মধ্যে প্রবল বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে বেশ কিছু এলাকা। ফলে বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় ১৩ জন নিখোঁজ। এখানে ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। লক্ষাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। বাড়ির আশেপাশে কান্নার স্বর এখনও শোনা যায়। তারই মধ্যে বন্যা আতঙ্ক বাড়িয়েছে।
তুরস্কে ভূমিকম্পের পর সারা বিশ্ব উদগ্রীব হয়েছিল। বিভিন্ন দেশ থেকে ত্রাণ পাঠানো হয়। ভারত থেকেও ত্রাণ যায়। সেখানে উদ্ধার কাজে নামে ভারতের টিম। শুধুই ধ্বংসের স্তূপ। তারপর কেটে গিয়েছে দেড় মাস। আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে তুরস্ক। একই অবস্থা সিরিয়াতেও। এখন সেখানে একদিকে ভগ্নস্তূপ সরানো, অন্যিদিকে নতুন করে বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে। অনেক বাড়ি ভেঙে না পড়লেও ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ার ও সংশ্লিষ্ট টিম।