Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeআন্তর্জাতিকAfganistan | UN | তালিবানের শাসনে চরম দারিদ্রতায় ভুগছে আফগানিস্তান

Afganistan | UN | তালিবানের শাসনে চরম দারিদ্রতায় ভুগছে আফগানিস্তান

Follow Us :

কাবুল: তালিবানের শাসনে চরম দারিদ্রতায় ভুগছে আফগানিস্তান (Afghanistan)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত গণতান্ত্রিক সরকারের পতনের পর এশিয়া মহাদেশের এই দেশে নতুন করে তালিবানি (Taliban) শাসন শুরু হয়েছে। তারপর থেকে আফগানিস্তানে গরিবির হার বেড়েছে। আগের তুলনায় দ্বিগুণ। দেশে গরিবের সংখ্যা বর্তমানে ৩৪ মিলিয়ন (34 Million) অর্থাৎ ৩ কোটি ৪০ লক্ষে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nation) পক্ষ থেকে এই কথা জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, বিশেষ করে আফগানিস্তানের মহিলারা (Women) দুর্ভোগের শিকার। কারণ তালিবানের শাসনে তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। 

রাষ্ট্রসঙ্ঘ উন্নয়ন কার্যক্রম বা ইউনাইডেট নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (United Nations Development Programme – UNDP) ২০২২ সালে হওয়া মূল্যায়ন সংক্রান্ত ডেটার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ৩৪ মিলিয়ন আফগান নাগরিক দারিদ্রতা সীমার নীচে বসবাস করেন। ২০২১ সালে মার্কিন-সমর্থিত গণতান্ত্রিক সরকারের পতনের পরে বিদেশি অনুদান এবং অর্থ সাহায্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ দেশই তালিবান সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে চাইছে না। সেই কারণে যাবতীয় অর্থ সাহায্য ও অনুদান বন্ধ হয়েছে।   

ইউএনডিপি’র রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে বহু মানুষ তাঁদের বাড়ি, জমি অথবা সম্পত্তি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকরই পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা সঙ্কটজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। সেদেশে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে এবং অল্পবয়সি মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হচ্ছে পরিবারের খরচ বাঁচাতে। এখানে উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে মোট জনসংখ্যা নিয়ে বর্তমানে কোনও আদমসুমারি হয়নি। কিন্তু বেসরকারি মতে সেদেশের জনসংখ্যা ৪০ মিলিয়ন। অর্থাৎ দেশের ৮৫ শতাংশ চমর দারিদ্রতায় ভুগছেন।  

২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালিবান পুনরায় ক্ষমতা দখলের পর থেকে আফগান মহিলাদের উপর অনেক বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে উচ্চ শিক্ষা এবং বেসরকারি অফিসে মহিলাদের কাজ না করতে দেওয়া। আফগানিস্তানে কাজ করা একটি এনজিও দাবি করেছে, তাদের সংস্থায় কোনও মহিলা নেই। কারণ, আফগানিস্তানের তালিবান সরকার মহিলাদের কাজ করার বিরুদ্ধে। 

আফগানিস্তানে ইউএনডিপি’র প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল দারদারি একটি বিবৃতিতে বলেছেন, যদি এই বছর বৈদেশিক সাহায্য কমানো হয়, তাহলে আফগানিস্তান মুখ থুবড়ে পড়বে। এক পদস্থ কর্তা বলেছেন, সারা দেশে কাজ করতে চাওয়া আফগান নারীদের চিহ্নিত করতে  হবে, আমাদের দেশে নারী কর্মীদের প্রয়োজন। কারণ যদি মেয়েরা না থাকেন, তাহলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে কারা কথা বলবেন। কাবুলে ইউএনডিপির প্রতিবেদন প্রকাশের সময় দারদারি সাংবাদিকদের বলেন, মেয়েদের কাজের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা খুব নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। 

আরও পড়ুন: Jagadish Shettar| গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া একটা সিস্টেমে চলে, সবাইকে তা মানতে হবে: বোম্মাই 

উল্লেখ্য, দুই সপ্তাহ আগে তালিবান কর্তৃপক্ষ আফগান নারী কর্মীদের কাজে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর থেকে রাষ্ট্রসঙ্ঘ পুরুষ ও মহিলা নির্বিশেষে সমস্ত আফগান নাগরিকদের অফিস থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। বলা হয়েছে, আপাতত তাঁরা বাড়ি থেকে কাজ করবেন। তাঁরা রাষ্ট্রসঙ্ঘের কর্মী হিসেবেই থাকছেন এবং তাদের বেতনও বহাল থাকবে।  

এদিকে, ইদের আগে একটি জনসভাতে তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা জানিয়েছেন, “আফগানিস্তানের উন্নয়ন আফগানদের দায়িত্ব। আমাদের অন্যের উপর নির্ভর করা উচিত নয়।”

RELATED ARTICLES

Most Popular