গুয়াম: প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ গুয়ামে সরাসরি আছড়ে পড়ল ক্যাটাগরি ফোর সুপার টাইফুন ‘মাওয়ার’। অতি শক্তিশালী এই টাইফুন বৃহস্পতিবার ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ল। সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টিপাত। যদিও অতি ভয়ঙ্কর এই ঝড়ের জেরে কোনও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। গুয়াম পাওয়ার কর্তৃপক্ষের মতে, ওই দ্বীপের ৫২ হাজার বাড়ি এবং বিভিন্ন দোকানের মধ্যে প্রায় ৫১ হাজার বাড়িতেই বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এই ঝড়ের ফলে হাসপাতালগুলির ইমার্জেন্সি বিভাগেও তেমন কোনও ভিড় নেই। তবে বন্যা হয়েছে, এবং তার জেরে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এই নিয়ে গভর্নর লু লিওন গেরেরো এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমি খুবই খুশি যে আমরা নিরাপদে আছি, মারাত্মক কিছু হয়নি। আমরা এই ঝড়টি মোকাবিলা করতে পেরেছি। সবচেয়ে খারাপ সময় চলে গিয়েছে।’ তবুও, সরকার নিরাপদ বলে ঘোষণা না করা পর্যন্ত তিনি জনসাধারণকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেন। গুয়ামের বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শন করার পর তিনি বলেন, ‘রাস্তাগুলি যাতায়াতের যোগ্য, তবে আপনাদের এখনই রাস্তায় বের হওয়া উচিত হবে না।’ স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগে তিনি ঝড়টিকে ১৯৬২ সালের টাইফুন ক্যারেনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন, যা দ্বীপের বেশিরভাগ অংশকে কার্যত ধ্বংস করে দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee | Dilip Ghosh | কুড়মিদের দিলীপ ঘোষের বাড়ি ঘেরাওয়ের বার্তা অভিষেকের
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধীন এই দ্বীপটিতে প্রায় ১০ হাজার মার্কিন সামরিক বাহিনী-সহ প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষের বসবাস। এ যাত্রায় বড় কোনও দুর্ঘটনা না ঘটায় রক্ষা পেলেন তাঁরা। যদিও এটি গত ৬০ বছরে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ছিল। জরুরি সতর্কতাও জারি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, গুয়ামে প্রবল হাওয়া ও ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে।