স্টকহোম: কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন। তার পুরস্কার হিসেবে শারীরবিদ্যা (Physiology) অথবা মেডিসিন (Medicine) বিভাগে নোবেল পুরস্কার (Nobel Prize) পেলেন কাতালিন কারিকো (Katalin Kariko), ড্রিউ ওয়েইসম্যান (Drew Weissman)। নিউক্লোসাইড (Newcloside) নিয়ে তাঁদের আবিষ্কার কোভিড-১৯-এর (Covid-19) বিরুদ্ধে কার্যকর এমআরএনএ প্রতিষেধক তৈরিতে বড় সাহায্য করেছিল। ২ অক্টোবর ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটে এই দুই বিজ্ঞানীকে সম্মান প্রদান করা হয়।
শারীরবিদ্যা অথবা মেডিসিন বিভাগে নোবেল দেওয়া হয় জীববিদ্যা অথবা ওষুধপত্রের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারে। তার জন্য এমন আবিষ্কার বা কীর্তি করতে হয় যা মানবজাতির কল্যাণে লাগে কিংবা বিজ্ঞানের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। সেদিক থেকে কারিকো এবং ওয়েইসম্যান এই সম্মানের যথাযথ প্রাপক। কোভিড অতিমারিতে (Pandemic) দিশেহারা অবস্থা হয়েছিল এই দুনিয়ার। মৃত্যুমিছিল দেখা গিয়েছিল একের পর এক দেশে। ভয়ঙ্কর সেই সময় থেকে উদ্ধার পেতে সবথেকে বেশি সাহায্য করেছে প্রতিষেধকই।
আরও পড়ুন: আইসিসের ইঞ্জিনিয়ার জঙ্গি গ্রেফতার
প্রসঙ্গত, সুইডিশ বিজ্ঞানী তথা ব্যবসায়ী আলফ্রেড নোবেল (Alfred Nobel) ১৮৯৫ সালে তাঁর উইলে নোবেল পুরস্কারের প্রবর্তন করে যান। ১৯০১ সাল থেকে প্রত্যেক বছর পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, শারীরবিদ্যা কিংবা মেডিসিন, সাহিত্য এবং শান্তি বিভাগে সবথেকে বড় অবদান রাখা ব্যক্তিকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। ১৯৬৮ সালে এর সঙ্গে যোগ অর্থনীতি।
এই পুরস্কার প্রদানকারী সংস্থা দ্য নোবেল ফাউন্ডেশন এবার পুরস্কার মূল্যে ১০ শতাংশ বাড়িয়েছে। তাই এ বছর বিজয়ীরা ১ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮.৩১ কোটি টাকা) পাবেন। এছাড়াও ডিসেম্বরে যখন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হবে, বিজয়ীরা ডিপ্লোমা পাবেন এবং একটি ১৮ ক্যারাট সোনার পদকও পাবেন। প্রসঙ্গত, ১৯০১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত শারীরবিদ্যা বা মেডিসিন বিভাগে ২২৫ জন ১১৩টি পদক পেয়েছেন।
দেখুন অন্য খবর: