আমেরিকায় শীঘ্রই শুরু হবে 5G C-Band এর ট্রায়াল। পঞ্চম প্রজন্মের এই সেলুলার নেটওয়ার্ক 4G’র তুলনায় প্রায় ১০০ গুণ দ্রুত পরিষেবা দিতে সক্ষম। কিন্তু এই উন্নত প্রযুক্তির ফলে বিমান পরিষেবায় গোলযোগ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে দাবি করেছে একাধিক মার্কিন উড়ান সংস্থা।
AT&T ও Verizon ৩,৭০০ mhz এবং ৩,৯৮০ mhz ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করবে। এই ফ্রিকোয়েন্সি C-Band নামে পরিচিত। মার্কিন বিমান সংস্থাগুলি জানিয়েছে, 5G নেটওয়ার্কের এই ফ্রিকোয়েন্সি বিমানের যন্ত্রাংশের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
আমেরিকার ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (FAA) তরফে বলা হয়, 5G নেটওয়ার্কের ফ্রিকোয়েন্সি বিমানের যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। বিমানের রেডিও অল্টিমিটার এই ফ্রিকোয়েন্সির সাহায্যে তথ্য সরবরাহ করে। বিমান অবতরণের সময় মাটি থেকে বিমানের উচ্চতা মাপা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই কাজটা করে থাকে রেডিও অল্টিমিটার বা Rad Alt। কিন্তু 5G C-Band রেডিও অল্টিমিটার সহ বিমানের অন্য যন্ত্রপাতির ক্ষতি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে FAA।
কিন্তু শুধু আমেরিকাতেই এই সমস্যা কেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এর আগে বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশে চালু হয় 5G পরিষেবা। সেখানে বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে কোনও রকম সমস্যার সৃষ্টি করেনি 5G নেটওয়ার্ক। তাহলে আমেরিকায় কেন ? তবে সমস্যার থাকলেও 5G’র ট্রায়াল বন্ধ করছে না AT&T ও Verizon। যে শহর বা অঞ্চলে বিমানবন্দর নেই, কিংবা বিমানবন্দর থেকে দূরে যেখানে 5G’র ফ্রিকোয়েন্সি পৌঁছবে না, এমন স্থানে হবে ট্রায়াল।