কলকাতা: কংগ্রেস নেতা (Congress Leader) কৌস্তভ বাগচীর (Koustav Bagchi) গ্রেফতারি নিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের (Kolkata Police Commissioner Vineet Goyal) রিপোর্টে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার রাজ্য সরকারের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, পুলিশ কমিশনারের রিপোর্ট গ্রহণযোগ্য নয়। সিপি কি তাঁর পুলিশকে বেআইনি কাজে উৎসাহ দিচ্ছেন? এই ধরনের আচরণ মানতে পারছি না।
দু’পক্ষের আইনজীবীকে বিচারপতি মান্থার প্রশ্ন, এটা কি খুব গ্রহণযোগ্য। পাবলিক ফিগার একজন আর একজনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন?
আরও পড়ুন: Tiljala Incident | অগ্নিগর্ভ তিলজলায় প্রাণভয়ে পালাচ্ছেন পথচলতি মানুষ, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ
পুলিশকে সতর্ক করে বিচারপতি বলেন, ১২ এপ্রিলের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে হবে। এই সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী নির্দেশ বহাল থাকবে। ২০ এপ্রিল পরবর্তী শুনানি। এর আগে হাইকোর্ট কংগ্রেসের ওই আইনজীবী নেতার বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সিআরপিএফ হলফনামা দিয়ে জানিয়ে দেয়, তাদের পক্ষে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। এদিন আদালত বলে, সিআইএসএফের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে মামলায় যুক্ত করা হল। আগামী দিনে সিআইএসএফ ওই জায়গা ঘুরে দেখে এসে নিরাপত্তা দিতে পারবে কি না, জানিয়ে রিপোর্ট দেবে আদালতে।
উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ গভীর রাতে কৌস্তভের ব্যারাকপুরের বাড়িতে হানা দিয়েছিল বটতলা থানার পুলিশ।মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অসম্মানজনক কথা বলার অভিযোগে বটতলার বাসিন্দা এক তৃণমূল কর্মী এফআইআর করেন। তার ভিত্তিতে ওই রাতেই পুলিশ ব্যারাকপুরে কৌস্তভের বাড়ি ঘিরে ফেলে। হুমকি এবং অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে ৪ মার্চ সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বিনা কারণে কলকাতার বটতলা থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে বলে দাবি করেন কৌস্তভ। কংগ্রেস নেতার গ্রেফতারি ঘিরে সরগরম হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। গ্রেফতারির দিন বিকেলে জামিনে মুক্তি পান কৌস্তভ। এর পরই পুলিশের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস নেতা।
এর আগের শুনানিতে আদালত প্রশ্ন তুলেছিল, মামলাকারী কী এমন অসম্মানজনক কথা বলেছেন যে, বটতলা থানার পুলিশকে রাতারাতি ব্যারাকপুরের ছুটে যেতে হল। সেদিনই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা কলকাতা পুলিশ কমিশনারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন। ওই দিন সিপি যে রিপোর্ট দিয়েছিলেন, তাও গ্রহণ করেননি বিচারপতি। তিনি নতুন করে রিপোর্ট দিতে বলেছিলেন। সোমবার সিপি যে রিপোর্ট দেন, তাতে কার্যত বটতলা থানার পুলিশের আচরণকেই সমর্থন করা হয়েছে।এতেই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি মান্থা।