কলকাতা: গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) এবার কাস্টমস অফিসারদের (Customs Officers ) জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই (CBI)। শুল্ক দফতরের ২ আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তরকারী সংস্থা। আগামী সপ্তাহে আরও ২ অফিসারকে তলব করেছে সিবিআই।
মুর্শিদাবাদে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় যাঁরা কর্মরত ছিলেন, মূলত তাঁদেরকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই সীমান্ত দিয়েই বাংলাদেশে বেশিরভাগ গরু পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ। লালগোলা, ডোমকল, জঙ্গিপুরের পাশাপাশি ঔরঙ্গাবাদের কাস্টমস অফিস থেকে গরু কেনা হত। এর পাশাপাশি ইলামবাজার, পাইকর, সাগরদিঘি-সহ বিভিন্ন পশুহাট থেকে কেনা হত গরু। ED-র চার্জশিটে বলা হয়েছে, বীরভূম, মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুরের পশু হাট থেকেও গরু কিনত এনামুল এবং তাঁর দলবল।
সিবিআইয়ের একটি সূত্রের দাবি, এই শুল্ক অফিসারদের সঙ্গে অনুব্রত, সায়গল, এনামুলদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। সেই যোগাযোগকে কাজে লাগিয়েই গরু পাচারের কারবার চলে অবাধে। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল, শুল্ক অফিসার এবং বিএসএফ কর্তাদের একাংশের যোগসাজশে গরু পাচার চলেছে অবাধে। গরু পাচারে শাসকদলের অনেক নেতার নাম জড়িয়ে যাওয়ায় তৃণমূল (TMC) বলে, সীমান্তে তো দায়িত্বে থাকে বিএসএফ। তাদের নিয়ন্ত্রণ করে কেন্দ্রীয় সরকার। কাজেই এ ব্যাপারে কেন্দ্র তাদের দায় এড়াতে পারে না। সূত্রের খবর, সেই কারণেই সিবিআই এবার শুল্ক দফতরের অফিসারদের একাংশের উপর বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে।
কীভাবে গরু পাচার হত? কোন রুটে পাচার হত গরু? কীভাবে চলত এই চোরা কারবার? এর আগে চার্জশিটে তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছে ED। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগেই অনুব্রতর বিরুদ্ধে ২০৩ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। রন্ধ্রে রন্ধ্রে কেষ্টর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলা হয়েছে। হাতিয়ার করা হয়েছে কন্যা সুকন্যার বয়ানও। ইডির দাবি, সুকন্যা জেরায় ইডিকে জানিয়েছেন, চেকবুকে তাঁর বাবাই তাঁকে সই করতে বলতেন। গরু পাচারে সুকন্যারও ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। পাশাপাশি, অনুব্রতের নামে ও বেনামে যে সমস্ত জমির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে তারও উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে।