কলকাতা: আইআইটি খড়গপুরের (IIT Khragpur) তৃতীয় বর্ষের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ফায়জান আহমেদের (Faizan Ahmed) রহস্য মৃত্যুর ময়না তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছিল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ (Forensic Expert) অজয় গুপ্তাকে (Ayaj Gupta)। সেই তদন্তের দ্বিতীয় মতামত জানতে অজয় গুপ্তাকে তাঁর রেমুনারেশন (Remuneration) দেওয়া কথা ছিল আইআইটির (IIT) অধিকর্তাদের। কিন্তু এই ঘটনার পর কয়েক সপ্তাহ কেটে গেছে, এখনও সেই কাজ না হওয়ায় আইআইটি অধিকর্তার উদ্দেশ্যে কড়া ভাষায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha) । তাঁর কথায়, এতো অসহযোগিতা, অজুহাত কিসের? একটা ড্রাফট করে ওনার সান্মনিক তার বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া যেত না? সামান্য এটার জন্য গোটা প্রক্রিয়া আটকে থাকলো। এটা ভালো ভাবে নিলো না আদালত।
রাজ্য পুলিশ (Police)সমস্ত কেস ডাইরি সহ এই মামলার সব নথি (Documents)ফরেন্সিকের বাড়িতে পৌঁছে দিতেছে। এবার আদালতের নির্দেশ ১১ হাজার টাকার একটা ড্রাফট তার বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছে দেবে আইআইটি। এবং সন্দীপ ভট্টাচার্যকে আদালতের পক্ষের আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ করা হল। আদালতের নির্দেশানুসারে আইআইটি খড়গপুর কর্তৃপক্ষ অজয় গুপ্তকে সব খতিয়ে দেখতে সব রকম সহযোগিতা করতে হবে।
আরও পড়ুন: Kolaghat Cooperative Vote Win Left: সমবায়ের ভোটে উড়ল লাল আবির,দ্বিতীয় স্থানে নামল তৃণমূল
উল্লেখ্য,গত ১৪ অক্টোবর (October) আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) লালা লাজপত রায় (Lala Lajpat Rai) হলের একটি ঘর থেকে ফায়জান আহমেদের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। এরপরেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তার দেহটি পাঠানো হয় ময়না তদন্তের জন্য। তার পরেই হাসপাতালে এসে ছেলের খুনের অভিযোগ করেন ফায়জানের পরিবার। যদিও প্রথমে তাঁর পরিবার মৃতদেহটি চিনতে না পেরে ফায়জান বলে অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু পরে তাঁরা দেহটি শনাক্ত করে।