কলকাতা: বিধানসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেরিয়ে যাওয়ার সময় বৃহস্পতিবার গেটের কাছে বিজেপি বিধায়করা চোর চোর স্লোগান তুললেন। তার নেতৃত্বে ছিলেন খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী যখন বেরিয়ে যাচ্ছেন, তখন বিজেপির বিধায়করা জয় শ্রীরাম এবং চোর চোর ধ্বনি দিতে থাকেন। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ অফিসাররা বাধা দিলে বিধায়কদের সঙ্গে তাঁদের বচসা শুরু হয়। আশপাশে থাকা তৃণমূল বিধায়ক এবং শাসকপন্থী সরকারি কর্মচারীরা এগিয়ে আসেন। সরকারি কর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে জিন্দাবাদ ধ্বনি দেন। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে অবশ্য জল বেশি দূর গড়ায়নি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী যাবেন বলে পুলিশ বিধানসভার গেটে বিজেপি বিধায়কদের গাড়ি আটকে দেয়। সে কথা কানে যেতে তেলেবেগুনি জ্বলে ওঠেন শুভেন্দু। তিনি কলকাতা পুলিশের অফিসারদের উদ্দেশে বলেন, কে আপনারা গাড়ি আটকানোর। এটা কি কলকাতা পুলিশের জমিদারি? আপনারা আমাদের নির্বাচিত করেননি। মানুষ আমাদের বিধানসভায় পাঠিয়েছেন। কোন হরিদাসের গাড়ি পাস করানোর জন্য আপনারা আমাদের বিধায়কদের গাড়ি আটকেছেন? তিনি হুমকি দেন, ভবিষ্যতে এ কাজ করলে পরিণতি খারাপ হবে।
আরও পড়ুন: সংসদে শেষ দিন, দেবের পোস্টে জল্পনা তুঙ্গে
এদিন বিধানসভায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বাজেট ভাষণ দেওয়ার সময়ও বিজেপি বিধায়করা চোর চোর বলে স্লোগান দেন। সরকার পক্ষের সদস্যরাও পাল্টা স্লোগান দেন শুভেন্দুর নামে। হইহল্লার জন্য মন্ত্রী বেশ কয়েকবার ভাষণ থামিয়ে দিয়ে বসে পড়েন। এক সময় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে মুখ্যমন্ত্রী কিছু বলতে চান। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমতি দিলে তিনি উঠে দাঁড়িয়ে গলা উঁচিয়ে বলেন, এটা বিজেপির পার্টি অফিস নয়। আপনারা নোংরা রাজনীতি করছেন। বিরোধীরা বাংলার ভালো চায় না। তাই এই নোংরা খেলা খেলছে। সংসদে স্পিকার ১৪৬ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করে রেখেছিল। আমরা সেই সব করতে চাই না। চেঁচামেচিতে মুখ্যমন্ত্রীর অনেক কথাই শোনা যায়নি।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: