কলকাতা: কুরুক্ষেত্রে অর্জুনের সারথি ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ, ভারতের আছে ‘নরেন্দ্র-কৃষ্ণ’- শনিবার ভবানীপুরে একটি অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C. V. Ananda Bose)। আর এই মন্তব্যের পরেই শুরু হল নতুন করে বিতর্ক। রাজ্যপাল বলেন, শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন বলে মহাভরতে অর্জুনের রথ কোনও ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। একই রকম ভাবে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) আছেন বলে ভারতবর্ষের রথও অক্ষত রয়েছে।
মহাভারতের প্রসঙ্গ টেনে সিভি আনন্দ বোস বলেন, ভগবত গীতায় পড়েছি, শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনের দিব্যীয় রথ থেকে নেমে মাটিতে পা রাখা মাত্রই, রথটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তাতে আশ্চর্য হয়ে যান অর্জুন। কী হল বুঝতে না পেরে কৃষ্ণকে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি। হেসে কৃষ্ণ বলেছিলেন, তিনি ওই রথে বসেছিলেন বলেই সেটি এ ক্ষণ পোড়েনি। আজ ভারত নামক যে রথ রয়েছে, তাতে সওয়ার রয়েছেন নরেন্দ্র-কৃষ্ণ। নরেন্দ্র মোদি আছেন বলে ভারতবর্ষের রথ অক্ষত রয়েছে, মন্তব্য বোসের।
আরও পড়ুন: ২১ ফেব্রুয়ারি ২১ লক্ষ শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে, ঘোষণা মমতার
একদিকে যখন শনিবার রেড রোডের ধরনা মঞ্চ থেকে কেন্দ্রকে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-কে, অন্যদিকে রাজ্যপাল বোসের কণ্ঠে ধ্বনিত হল মোদি বন্দনা। রাজ্যপালের ‘নরেন্দ্র-কৃষ্ণ’ মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, আমি একটা কথাই বলতে পারি, শ্রীকৃষ্ণই হোন বা রামচন্দ্র অথবা রামকৃষ্ণই হোন, কেউ অগ্নিসাক্ষী করে বিয়ে করা স্ত্রীকে পরিত্যাগ করেছেন বলে জানা নেই, যা নরেন্দ্র মোদি করেছেন। এত বড় নারীবিদ্বেষী আর কেউ নেই। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন জানিয়েছেন, এই রাজ্যপালের মুখোশ অনেক আগেই খুলে গেছে। পূর্বসূরি জগদীপ ধনকড়কে প্রতি মুহূর্তে অনুসরণ করছেন। সব মিলিয়ে বলাই যায়, রাজ্যপাল বোসের মন্তব্য রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব (State-Governor Conflict)-কে আরও একটু উস্কে দিল।
আরও খবর দেখুন