কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে কি অভিষেক বনাম নওশাদ? বৃহস্পতিবার এমনই ইঙ্গিত দিলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেলে লোকসভা নির্বাচনে ৮ থেকে ১০টি আসনে আইএসএফ নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করতে পারে। একইসঙ্গে এই প্রার্থী তালিকায় ডায়মন্ড হারবার আসনটিতে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইঙ্গিত দিলেন। যদিও গোটা বিষয়টি আইএসএফ রাজ্য কমিটির বৈঠকেই চূড়ান্ত হবে বলে জানান তিনি।
অনেকদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নওশাদ প্রার্থী হতে চলেছেন। বিধায়ক নিজেই ওই কেন্দ্রে প্রার্তী হওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন কয়েকমাস আগেই। তবে সূত্রের খবর, আইএসএফ নেতৃত্ব চাইছে না নওশাদ প্রার্থী হোক। কারণ যে যে আসনে আইএসএফ প্রার্থী থাকবেন সেখানে প্রচারের ক্ষেত্রে নওশাদ একটা বড় ফ্যাক্টর। তাই তিনি যদি নিজে প্রার্থী হন তাহলে ভোট প্রচারে সমস্যায় পড়তে হবে। কারণ নওশাদের ভাষণ শুনতেই মানুষ মুখিয়ে থাকে। তাঁর অনুপস্থিতিতে অন্যান্য আসনে জনসংযোগে অসুবিধায় পড়তে হবে নেতৃত্বকে। এই সমস্যা নিয়েই দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন নওশাদ। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, যদি নেতৃত্ব চায় তো ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের মুখোমুখি হতে তিনি রাজি। তবে এখনও প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: মোদির বিকশিত ভারত বার্তা বন্ধের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
এদিকে বৃহস্পতিবারই বসিরহাটের জনসভা থেকে ডায়মন্ড হারবারের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেন। অভিষেক বলেন, বসিরহাট এবং ডায়মন্ড হারবার ভোট একই দিনে। এ বার ডায়মন্ড হারবারে বিরোধীদের ৪ লক্ষ ভোটে গ্যারাজ করে দেব। একদম বান্ডিল করে দেব। এর পরই বসিরহাটবাসীকে তাঁর প্রশ্ন, আপনারা চার লক্ষ করতে পারবেন তো? আগের বার সাড়ে তিন লক্ষ ছিল। এ বার চার লক্ষ হবে তো? তবে এদিন নওশাদ বলেন, ২-৪ লক্ষের গল্প অনেকেই বলেন। পুলিশ প্রশাসনকে কাজে না লাগিয়ে নিরপেক্ষ ভোট হলেই বোঝা যাবে কার কত দম। রাজনৈতিক মহলের মতে, অভিষেকের বিরুদ্ধে নওশাদ প্রার্থী হলে, লড়াই বেশ জোরদার হবে। শেষ হাসি কে হাসবে তা জানা যাবে ৪ জুন ভোট গণনার দিন।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: