Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeScrollডিএ আন্দোলনকারীদের কিছু হলে আগুন জ্বলবে, হুমকি শুভেন্দুর

ডিএ আন্দোলনকারীদের কিছু হলে আগুন জ্বলবে, হুমকি শুভেন্দুর

বাংলায় অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে বিজেপি, অভিযোগ শাসকদলের

Follow Us :

কলকাতা: অনশনরত সরকারি কর্মীদের কিছু হলে বাংলায় আগুন জ্বলবে বলে হুমকি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ধর্মতলায় শহীদ মিনার ময়দানে শনিবার থেকে ডিএ-সহ অন্যান্য দাবিতে ফের অনশনে বসেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। ২৯ জানুয়ারি থেকে মঞ্চ লাগাতার ধর্মঘটেরও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে। শনিবার অনশনস্থলে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, এই সরকারি কর্মীদের কিছু হলে আমরা ছেড়ে দেব না। বাংলায় আগুন জ্বলবে। তিনি মঞ্চের নেতাদের দলীয় পতাকা দূরে সরিয়ে রেখে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওযার পরামর্শ দেন। শুভেন্দু বলেন, কে এল, না এল দেখার দরকার নেই। আমি থাকব। আপনাদের আন্দোলনের পাশে থাকতে বিজেপির কোনও শর্ত নেই। দলের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে বলে গিয়েছেন, এই কর্মীদের পাশে যে যখন পারবেন, গিয়ে দাঁড়াবেন।

শুভেন্দু সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অনশনস্থলে গিয়ে এ কথা বলার পরই ময়দানে নেমেছে শাসকদল তৃণমূল। দলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, বাংলাকে অশান্ত করতে গভীর যড়যন্ত্র হচ্ছে বলে আমাদের আশঙ্কা। শুভেন্দু আগেও একাধিকবার বাংলার শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা করেছেন। আসানসোলে কম্বল বিতরণের নামে বিশৃঙ্খলা হয়েছে। সেখানে তিনজনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। সম্প্রতি আমজনতাকে প্ররোচিত করতে বর্ধমানে বিদ্যুত সরবরাহ সংক্রান্ত ভুয়ো তথ্য পরিবেশন করেছেন তিনি। কুণাল আরও বলেন, এই আন্দোলনকারীদের পিছনে বিরোধীদের মদত রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার হকের টাকা বছরের পর বছর ধরে আটকে রেখেছে। আন্দোলনকারীরা তা নিয়ে নীরব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সীমিত সাধ্যের মধ্যেই সরকারি কর্মীদের দাবি পূরণের প্রয়াস চালাচ্ছেন। শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা সোশ্যাল মিডিয়াতেও শুভেন্দুর মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মন্ত্রী শশী পাঁজা, ব্রাত্য বসু, অরূপ বিশ্বাস নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দুর সমালোচনা করেন।

আরও পড়ুন: সন্দেশখালির ঘটনার জের, রাজ্যে আরও ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

বকেয়া ডিএ, রাজ্য সরকারি কর্মীদের শূন্য পদ পূরণ-সহ বিভিন্ন দাবিতে গত প্রায় এক বছর ধরে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ আন্দোলন চালাচ্ছে। মাঝে দুবার তারা কর্মবিরতিও পালন করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলছেন, ডিএ দেওয়া সরকারের বাধ্যতামূলক নয়। বিষয়টি ঐচ্ছিক। তিনিও এই আন্দোলনের পিছনে বাম, কংগ্রেস, বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তাঁর আরও অভিযোগ, সরকারি কর্মীদের মধ্যে এখনও সিপিএম সমর্থিত কোঅর্ডিনেশন কমিটির বহু সমর্থক আছেন। তাঁরা কাজ করেন না, সরকারি নথি বাইরে পাচার করেন।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য আরও ৪ শতাংশ ডিএ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। আন্দোলনকারীরা তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, আমরা মুখ্যমন্ত্রীর দয়ার দান গ্রহণ করব না। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য কর্মীদের ডিএ-র ফারাক এখনও প্রায় ৩০ শতাংশের বেশি।

RELATED ARTICLES

Most Popular