কলকাতা: রাজ্য বিধানসভার স্পিকারের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক এবং কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক এড়িয়ে গেলেন বিজেপি বিধায়করা। তবে আইএসএফের একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি দুই বৈঠকেই হাজির ছিলেন। শুক্রবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ওই দুই বৈঠক ডেকেছিলেন। পরে স্পিকার বলেন, বিধানসভা বিরোধীদের।
বিরোধীরা না থাকলে সংসদীয় গণতন্ত্র শক্তিশালী হয় না। তাঁর অভিযোগ, বিরোধী দলনেতার আচরণ সংযত নয়। তাঁর আচরণ সংযত হলে আমার আলোচনা করতে কোনও অসুবিধে নেই। কিন্তু বিরোধী দলনেতার সৌজন্যবোধ নেই। স্পিকার বিধানসভায় বিরোধীদের বলতে দেন না বলে বিজেপি যে অভিযোগ করেছে, তাও মানতে রাজি নন বিমান।
আরও পড়ুন: বন্ধু হেমন্তের গ্রেফতারির প্রতিবাদ মমতার
আগামী সোমবার রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে। ৮ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করার কথা অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। গত অধিবেশনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করেছিলেন স্পিকার। বিধানসভার উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায়ের আনা প্রস্তাব অনুযায়ী শুভেন্দুকে সাসপেন্ড করা হয়। স্পিকার সেই সাসপেনশন তুলে নিয়েছেন। কাজেই বিরোধী নেতার এবার সভায় থাকতে কোনও অসুবিধে নেই।
গত অধিবেশনের অধিকাংশ দিনই বিজেপি সদস্যরা হয় সভা বয়কট করেছিলেন কিংবা মাঝপথে ওয়াকআউট করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিধানসভার মধ্যেই বিজেপি সদস্যরা চোর বলে কটাক্ষ করেছিলেন। সভায় তাঁরা বুকে মমতা চোর লেখা প্ল্যাকার্ড এবং পোস্টার ঝুলিয়ে আসেন। বিধানসভার বাইরেও অবস্থানরত সরকার পক্ষের বিধায়কদের দিকে চোর চোর বলে স্লোগান তোলেন বিরোধীরা। তা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাও ছড়ায়।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: