কলকাতা: পাঁচ মাসের মধ্যে পড়বে তৃণমূলের সরকার। এমনটাই মনে করছেন বিজেপির রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। শুধু তাই নয় তাঁর কথায় মহারাষ্ট্রের ছকে ঘোড়া কেনাবেচার ইঙ্গিতও মিলেছে। গ্যারান্টি দিচ্ছি, পাঁচ মাসের মধ্যে এই রাজ্যের সরকার পড়ে যাবে। প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) দাবি ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এরপরই রবিরাব তৃণমূল সরকার পড়ে যাবে বলে দাবি করেন সুকান্তু।
সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ‘বাংলার সরকার যে কোনও সময় পড়ে যেতে পারে। হঠাৎ বিধায়করা মনে করতে পারেন অন্য কাউকে সমর্থন করবেন। আবার এমন হতে পারে সব বিধায়করা পদ ছেড়ে গণ আন্দোলনে নামতে পারেন। বাংলার যা পরিস্থিতি তাতে যা কিছুই হতে পারে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর গতকালই বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন। তিনি বলেছেন, এরা চিরস্থায়ী নয়, আগামী ৫ মাসের মধ্যে রাজ্যে (West Bengal) তৃণমূলের (TMC) সরকার পড়ে যাবে। বিজেপি নেতাদের মন্তব্যের পরই নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে। তাহলে কী বাংলার রাজনীতিতেও কি দেখা যাবে মহারাষ্ট্রের ছকে ঘোড়া কেনাবেচা। কী বিজেপির রাজ্য সভাপতির মন্তব্যের পরই প্রশ্ন উঠছে তৃণমূল বিধায়করা তাহলে কি দলবদল করতে চলেছে ? নাকি বঙ্গ রাজনীতিতে কেনও রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হতে চলেছে?
আরও পড়ুন: Opposition Meet-Mamata | বেঙ্গালুরুতে সোনিয়ার নৈশভোজে যাবেন না মমতা, থাকবেন বিরোধীদের বৈঠকে
তৃণমূল সরকারকে ফেলত কী নয়া ছক কষছে বিজেপি। যাতে বাংলার পরিস্থিতি ভোল বদল ঘটালেই সরকার পতন সম্ভব হবে এমন ছকেই এগোতে চাইছে বিজেপি। রাজনীতিতে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। সেই কথাই কী বাংলার রাজনীতিতে প্রতিফলিত হবে। তৃণমূলের বিশস্ত সৈনিকরা কী দলবদলুদের দলে নাম লেখাবে? এই প্রশ্নের জবার সময়ই দেবে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা গিয়েছিল রাজ্যের নির্বচনের নামে প্রহসন হয়েছে।এই সরকারের হাত থেকে রাজ্যকে এবং রাজ্যবাসীকে বাঁচাতে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যাতে ৩৫৫ ধারা (Article 355) জারি করা হয়। অনেক কিছু করাতে হয়। সেটটা কী ভাবে তা কারাতে হয় সেটা আমি ভালো ভাবে জানি। এই মন্তব্যের পর শান্তনু ও সুকান্তের সরকার পড়ে যাওয়ার কথা। নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে।