কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন (Calcutta High Court Bar Association)সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিল। অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বব্রত বসু মল্লিক বুধবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) কাছে এক আবেদনে বলেন, আমরা সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি। আশা করছি, দ্রুত সমাধান হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত দুপক্ষের উপস্থিতি ছাড়া আপনি কোনও নির্দেশিকা জারি করবেন না। বিচারপতি বলেন, আপনার অনুরোধ আমি মেনে নিলাম। দুপক্ষের আইনজীবীর উপস্থিতি ছাড়া কোনও নির্দেশ দেব না। তবে জরুরি কিছু হলে আমি রায় দেব। বিচারপতির এই বক্তব্য মেনে নেন বারের সম্পাদক।
বিচারপতি বলেন, আপনারা প্রবীণ আইনজীবী। বিষয়টার দিকে বিশেষ নজর দিন। শুধু আমার এজলাসেই নয়, কোনও বিচারপতির এজলাসেই যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, সেদিকে বিশেষ নজর দিন। যা চলছে, তাতে কলকাতা হাইকোর্টের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার একদল আইনজীবী বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট করেন। এজলাস বন্ধ করে আইনজীবীদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। বিচারপতির যোধপুরের বাড়ির সামনে এবং হাইকোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে। মঙ্গলবার বিচারপতি মান্থা অভিযুক্ত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন। প্রবীণ আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একদল আইনজীবী প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের এজলাসে আবেদন করেন, আদালত যেন স্বতপ্রণোদিত হয়ে মামলা করে।
আরও পড়ুন:Bihar: গভীর রাতে কৃষকদের উপর অত্যাচার বিহার পুলিশের, ভাইরাল ভিডিয়ো
এদিকে এদিন কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সোমবারের ঘটনা নিয়ে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। মঙ্গলবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকাকে ডেকে পাঠান। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল তাঁদের কাছে সোমবার হাইকোর্টের ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।