কলকাতা: ২০১৬ সালে পাঁচ জেলায় যাঁরা প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন, এবার তাঁদের তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। অভিযোগ উঠেছে, ওই সময় চাকরিপ্রার্থীদের প্রকৃত ইন্টারভিউ এবং অ্যাপটিটিউট টেস্ট (aptitude test) নেওয়াই হয়নি। ২১ ফেব্রুয়ারি বেলা দু’টোয় প্রথম পর্যায়ে পাঁচটি জেলায় ইন্টারিভিউ নেওয়া শিক্ষকদের তলব করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) । রুদ্ধদ্বার কক্ষে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবে আদালত।
আদালতের নির্দেশে সোমবার ওই ইন্টারভিউ নেওয়া শিক্ষকদের নামের তালিকা পেশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আদালত প্রশ্ন তুলেছে, দেড় থেকে দুমিনিটের মধ্যে কীভাবে একসঙ্গে ইন্টারভিউ এবং অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া সম্ভব। সব দিক খতিয়ে দেখে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ২০১৬ সালে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় আদতে কোনও ইন্টারভিউ বা অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়াই হয়নি।
পর্ষদের প্রকাশিত তালিকা থেকে প্রথম পর্যায়ে হুগলি (Hooghly), হাওড়া (Howrah), উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur), কোচবিহার (Cooch Behar) এবং মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)জেলার শিক্ষকদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। আদালত সূত্রের খবর, তাঁদের কাছ থেকে ইন্টারভিউ এবং অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হবে। আইনজ্ঞদের একাংশ মনে করছে, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও বড় বাঁকের মুখে পড়ল।
আরও পড়ুন: IIT Kharagpur Case: আইআইটি মামলায় পুলিশকে ২০ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ
একইসঙ্গে মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদেরও ধাপে ধাপে তলব করা হবে বলে আদালত সূত্রের খবর। দূরের জেলার শিক্ষকদের যাতায়াতের খরচ বাবদ পর্ষদকে ২০০০ টাকা এবং কাছের জেলার জন্য ৫০০ টাকা করে দিতে হবে। মামলাকারীদের অভিযোগ, ৫২১৬ জন প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীর বেআইনি পথে চাকরি হয়েছে। অ্যাকাডেমিক স্কোর কম, অথচ ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্টের নম্বর উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি দিয়ে ওই অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ মামলাকারীদের।
বিচারপতি শুধু নন, এই নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা আগেই বলেছিলেন, পিঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো পরতে পরতে দুর্নীতি হয়েছে এখানে। যত খোসা ছাড়ানো হবে, ততই দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসবে। সেই কথাই ক্রমশ সত্যি হচ্ছ বলে আইনি মহল মনে করছে।