কলকাতা: ঝালদা পুরসভা (Jhalda Municipality) ঘিরে জটিলতা কেটেও কাটছে না। শনিবার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুয়াযী, বোর্ডের বৈঠকে কংগ্রেস (Congress) ও নির্দল কাউন্সিলররা শীলা চ্যাটার্জিকে (Shila Chatterjee) চেয়ারপার্সন (Chairperson) নির্বাচিত করলেন। তারপরে তাঁরা বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান। এরপর পুরসভায় আসেন তৃণমূলের চেয়ারপার্সন)(Chairperson) জবা মাছোয়ার। শুক্রবার রাতে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর জবা মাছোয়ারকে চেয়ারপার্সন ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। কংগ্রেসের অভিযোগ, আস্থা ভোটে হেরেও তৃণমূল (Tmc) ঝালদা পুরসভা দখলে রাখতে চাইছে। কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাত বলেন, এটা হবে না। আমরা আদালতে যাব। ওই নোটিস আদালতে ধোপে টিকবে না। পুর দফতরের (Municipal Affairs Department) ওই বিজ্ঞপ্তি বেআইনি।
আদালতের নির্দেশে গত ২১ নভেম্বর ঝালদা পুরসভায় তলবি সভা হয়। কংগ্রেসের আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে সমর্থন করেন ২ জন নির্দল কাউন্সিলর (Councillor)। ফলে চেয়ারম্যানকে অপসৃত হতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী, চেয়ারম্যান অপসারিত হওয়ার পর সাত দিনের মধ্যেই নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে হয়। সাত দিন অতিক্রান্ত হওয়ার আগেই ভাইস চেয়ারম্যান সুদীপ কর্মকার (Sudip Karmakar) পদত্যাগ করেন। কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, কাউকে না জানিয়ে গোপনে ভাইস চেয়ারম্যান (Vice Chairman) ইস্তফা দেন। সেই দিনই কংগ্রেসের তিন কাউন্সিলর চেয়ারম্যান নির্বাচন করার জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি (Notice) জারি করেন। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, শনিবার বোর্ডের বৈঠকে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচন করার কথা ছিল। বোর্ড মিটিংয়ের আগের দিনই শুক্রবার পুর দফতর জবা মাছোয়ারকে চেয়ারপার্সন হিসেবে ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
এদিন বেলা পৌনে ১১টায় কংগ্রেসের পাঁচ ও দুজন নির্দল কাউন্সিলর ঝালদা পুরসভায় আসেন। তাঁরা পুর বৈঠকে তিন নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর শীলা চ্যাটার্জিকে পুরপ্রধান নির্বাচিত করে প্রস্তাব নেন। তারপরে তাঁরা পুরসভা চত্বর ছেড়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর পুরসভায় হাজির হন জবা মাছোয়ার। তিনিও জরুরি কিছু কাগজপত্র সই করে পুরসভা ছাড়েন। তার সঙ্গে ছিলেন আস্থা ভোটে পরাজিত প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়াল (Suresh Agarwal)। কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নেপাল মাহাত (Nepal Mahato) বলেন, গোটা বিষয়টি আমরা কলকাতা হাইকোর্টের গোচরে আনব।
বাস্তব পরিস্থিতি দাঁড়াল, এই মুহূর্তে ঝালদা পুরসভায় দুজন চেয়ারম্যান। বিষয়টি যে আদালত (Court) পর্যন্ত গড়াবে তা বলাই বাহুল্য।