ফের নাটকীয় মোড়। কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার মুখেই দৌড় থেকে ‘স্বেচ্ছা’য় সরে দাঁড়ালেন দিগ্বিজয় সিং। শুধু তাই নয়, হাইকমান্ডের ‘মনোনীত’ প্রার্থী মল্লিকার্জুন খাড়গের মনোনয়নে প্রস্তাবকও হবেন তিনি। সভাপতি নির্বাচনের দৌড়ে নাটকীয়ভাবে প্রায় শেষ মুহূর্তে প্রবেশ করেন গান্ধী পরিবারের একনিষ্ঠ অনুগামী মল্লিকার্জুন খাড়গে। যাঁকে ১০ জনপথের বাসিন্দা সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর প্রথম পছন্দের তালিকায় বলে মনে করা হচ্ছে।
দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন, কংগ্রেসি রাজনীতিতে অত্যন্ত পোড়খাওয়া ব্যক্তিত্ব এবং দেশের বিভিন্ন টালমাটাল সময়ে স্থির-অবিচল সিদ্ধান্ত ও পরামর্শদাতা খাড়গের হাতেই ভারতের প্রাচীনতম দলের দায়িত্ব যাচ্ছে বলে জল্পনা আকবর রোডের অন্দরে। আজ, শুক্রবার কংগ্রেস সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। এদিনই মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন শশী থারুর ছাড়াও খাড়গে। হাইকমান্ডের সেরা ঘোড়াকে মাঠে নামানোয় নির্বাচন বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। মনোনয়ন জমার সঙ্গেই মল্লিকার্জুন রাজ্যসভার সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দেবেন। দলের নীতি অনুযায়ী, এক ব্যক্তি, এক পদ নিয়ম মেনে তিনি রাজ্যসভার সদস্যপদ ছাড়বেন। যা নিয়েই বিরোধ বেধেছিল রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court:তপন দত্ত খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ
১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। আজ দুপুর ৩টে পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময়। বৃহস্পতিবার রাতে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপাল খাড়গেকে সভাপতি নির্বাচনে দাঁড়ানোর কথা জানান। দলের হাইকমান্ডের ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁকে ওই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। যদিও সরকারিভাবে গান্ধী পরিবারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা কোনও পক্ষে নেই।
ক্লাইম্যাক্সের মোড় ঘোরে শুক্রবার সকালেই। কে সি বেণুগোপাল ও মল্লিকার্জুন এক বৈঠকে ডাকেন দিগ্বিজয় সিংকে। সেথানে তাঁদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে, তা জানা না গেলেও বৈঠক শেষে বেরিয়ে দিগ্বিজয় জানান, তিনি মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন না। যদিও বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি খাড়গের সঙ্গে আজ সকালে দেখা করেছি। উনি যখন দাঁড়াচ্ছেন, তখন আমি না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিই। জানান, তিনি মনোনয়নপত্র তোলেননি।
তবে শেষ পর্যন্ত কজন নেতা মনোনয়ন জমা দিতে চলেছেন, তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। কারণ দলের একাংশ অজয় মাকেন ও মুকুল ওয়াসনিকের মতো নেতাকেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য চাপ দিচ্ছে। এদের অনেকেই গান্ধী পরিবারতন্ত্র খতমের পক্ষে রয়েছেন। সব মিলিয়ে গান্ধী পরিবারহীন কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন জমজমাট হতে চলেছে।