বাঁকুড়া: বেলাগাম মন্তব্য করে ফের বিতর্কে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) এবং বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা (Amarnath shakha)। সোমবার (Monday) বাঁকুড়ার এগড়াবাদের এক সভায় সৌমিত্র পুলিশ ও প্রশাসনকে জুতো মারার নিদান দিলেন। তিনি বলেন, পুলিশ (Police) ও প্রশাসনকে বলছি, মানুষকে যদি ভোট দিতে না দেওয়া হয়, তাহলে জুতো মারা হবে। ওই সভাতেই ওন্দার বিজেপি বিধায়ক আবাস যোজনার দুর্নীতির উল্লেখ করে বলেন, প্রকৃত উপভোক্তা বাড়ি না পেলে এসডিও, বিডিওদের আটকে রেখে অত্যাচার চালাতে হবে। তাঁর আরও মন্তব্য, দিদির দূত গ্রামে এলে তাদের ঝাঁটা পেটা করতে হবে।
পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই শাসক ও বিরোধী দলের নেতাদের মধ্যে কুকথা বলার প্রতিযোগিতা বাড়ছে। বিজেপি সংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ এর আগেও বিভিন্ন সভা সমাবেশে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন সময়ে। তৃণমূল নেতারাও পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েননি। এদিন এগড়াবাদের ওই সভায় হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তাঁর সামনেই দলের সাংসদ ও বিধায়ক ওই সব কুকথা বলেন।
আরও পড়ুন: Gurugram Massive Fire: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড গুরুগ্রামের বস্তিতে, পুড়ে ছাই বহু কাঁচা বাড়ি
সভার পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সুকান্ত বলেন, সুদে আসলে সব আদায় করতে হবে । তার জন্য তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বেঁধে রাখার কথা বলেন দিলীপ ঘোষ অনযায় কিছু বলেননি। মানুষ যা ভালো বুঝবে, তাই করবে। যদি বেঁধে রাখার দরকার হয়, বেঁধে রাখবে। মারার দরকার হলে, মারবে।
সোমবারও রাজ্যের বিভিন্ন জেলার আবাস দুর্নীতির প্রতিবাদে বিরোধীদের আন্দোলন অব্যাহত ছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দীঘিতে কোম্পানির ঠেকে পথ অবরোধ করে বিজেপি। ব্লক অফিসে বিডিওকে না পেয়ে ক্ষুব্ধ বিজেপির নেতা কর্মীরা রাস্তায় বসে পড়েন। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিষের সঙ্গে বিজেপির ধস্তাধস্তি হয়। অবরধের জেরে দীর্ঘক্ষণ রায়দীঘি রোডে যান চলাচল বন্ধ ছিল।