নয়াদিল্লি: দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনায় বিজেপি এবং সংঘ পরিবারকে বিঁধে কড়া বিবৃতি দিল সিপিএম। দিল্লি সিপিএমের বিবৃতি, জাহাঙ্গিরপুরীর সাধারণ মানুষের উপর নির্মম আক্রমণ করেছে আরএসএস এবং বিজেপি। বুধবার সকালে উত্তর-দিল্লি পুরসভা কোনও রকম আগাম নোটিস ছাড়াই জাহাঙ্গিরপুরীতে উচ্ছেদ অভিযানে নামে। বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় অসংখ্য অস্থায়ী ঝুপড়িঘর ও দোকান। কয়েক দিন আগে এই জাহাঙ্গিরপুরীতেই ধর্মীয় মিছিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গোলমাল বাঁধে দুই গোষ্ঠীর।
বুধবারে উচ্ছেদ অভিযানের পিছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দেখতে পাচ্ছে দিল্লি সিপিএম। উত্তর-দিল্লি পুরবোর্ড যে বিজেপি রাজ্য সভাপতি আদেশ গুপ্তার নির্দেশ মেনে চলার চলা চেষ্টা করছে বিবৃতিতে সে কথা দাবি করেছে সিপিএম। দলের বক্তব্য, বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতৃত্ব জাহাঙ্গিরপুরীতে ধর্মীয় প্রতিহিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করে। স্থানীয় মানুষেরা তার পালটা প্রতিরোধ দেখান। এই প্রতিরোধকারীদেরই সরকারি জমির ‘দখলদারী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিজেপি।
দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীর এই এলাকায় বহু গরিব মানুষের বাস। কেউ কেউ তাঁদের মধ্যে হয়তবা সরকারি জমিতে অস্থায়ী ঝুপড়ি-ঘর বা দোকানও বানিয়েছেন। এ ঘটনা নতুন কিছু নয়, গত কয়েক দশক ধরেই এই পরিস্থিতি। দিল্লি সিপিএম বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, গরিব এই সব মানুষকে উৎখাত করতে কোনও রকম নোটিস দেওয়ার প্রয়োজন করেনি প্রশাসন।
সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক ভাবে আরএসএস-বিজেপি জোট জাহাঙ্গিরপুরীর মানুষের জীবনজীবিকা কেড়ে নিতে চেয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে সিপিএম। এর পালটা হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বামপন্থীরা। সংঘ পরিবার এবং বিজেপিকে মনে করিয়ে দিয়েছে সিপিএম। বলেছে, জাহাঙ্গিরপুরীর এই ঘটনার বিরুদ্ধে আগামী দিনে দিল্লির নাগরিক সমাজ বৃহত্তর প্রতিরোধ গড় তুলবে।