কলকাতা: জাহাঙ্গিরপুরী যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় দল৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দাঙ্গাবিধ্বস্ত জাহাঙ্গিরপুরী যাবেন দলের সাংসদরা৷ সেখানে গিয়ে তথ্য অনুসন্ধান করবেন তাঁরা৷ ফিরে এসে রিপোর্ট জমা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ কারা যাবেন তাঁদের নাম চূড়ান্ত না হলেও সূত্রের খবর, সংসদীয় ওই দলে থাকছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অপরূপা পোদ্দার৷ আগামী ২২ এপ্রিল তাঁরা জাহাঙ্গিরপুর যাবেন৷
কয়েকদিন আগে এই জাহাঙ্গিরপুরীতেই ধর্মীয় মিছিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গোলমাল বাঁধে দুই গোষ্ঠীর। সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা৷ ইট, পাথর ছোড়ার পাশাপাশি কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ সংঘর্ষে আহত হন ৯ জন৷ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ২৩ জনকে৷ এরপর থেকেই এলাকার পরিবেশ থমথমে৷ বুধবার সেখানেই সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে অস্থায়ী ঝুপড়ি ঘর ও দোকানের উপর বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়৷ তৃণমূলের তরফে বুলডোজার চালানোর নিন্দা করা হয়েছে৷ যদিও উত্তর-দিল্লি পুরসভার সাফাই, জাহাঙ্গিরপুরীর উচ্ছেদ অভিযান স্রেফ রুটিন কাজ। বেআইনিভাবে দখল করা সরকারি জমি ও রাস্তা সাফ করতেই এই অভিযান। রুটিন অভিযান মেনে নিলেও প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যায়, আগের থেকে কেন কোনও রকম নোটিস দিল না বিজেপি শাসিত পুরবোর্ড? কেন সব কিছুতেই মামলা শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়?
জবাবে পুরসভা জানিয়েছে, তারা কোনও নিয়মবিরুদ্ধ কাজ করেনি৷ যা করেছে পুর আইন মেনেই করেছে৷ পুর কমিশনার বলেন, ‘দিল্লি পুর আইনের ৩২১, ৩২৩ এবং ৩২৫ ধারায় বলা আছে, অস্থায়ীভাবে দখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি বা রাস্তা থেকে উচ্ছেদকারীদের সরাতে কোনও আগাম নোটিস দেওয়ার প্রয়োজন নেই৷’
আরও পড়ুন: Jahangirpuri: জাহাঙ্গিরপুরীতে উচ্ছেদ, আরএসএস-বিজেপিকে বিঁধে সিপিএমের আক্রমণাত্মক বিবৃতি