কলকাতা: দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছেন ইডির প্রধান সঞ্জয় মিশ্র। শুক্রবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) (Enforcement Directorate)-এর প্রধান সঞ্জয় মিশ্র (Sanjay Mishra)। একাধিক বৈঠক সারবেন কলকাতায় একাধিক তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে। নিয়োগ দুর্নীতি, কয়লাকাণ্ড, গরু পাচার সহ একাধিক মামলার তদন্তে রয়েছে ইডি। ইডি-র স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর ফিরোজ এডুলজিকে সিজিওতে সঞ্জয় মিশ্র ডেকে পাঠালেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার স্পেশাল পিপি এডুলজি। আইনি পরামর্শ নিতে বৈঠক, খবর সূত্রের। আগামিদিনে আইনি লড়াই নিয়ে হবে আলোচনা, খবর সূত্রের। উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ইডির হাতে যা মামলা রয়েছে, সেই তদন্তকারী অফিসারদের নিয়েও বৈঠক সঞ্জয় মিশ্রর।
ইডি সূত্রে খবর, ঠাসা সময়সূচি নিয়েই এ রাজ্যে এসেছেন সঞ্জয় মিশ্র। তিনি কত দিন রাজ্যে থাকবেন, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে।রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যে এই মুহূর্তে বেশকয়েকটি হাই প্রোফাইল মামলার তদন্ত করছে ইডি। ইতিমধ্যেই মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিধায়ক, সরকারি পদাধিকারী বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করছে ইডি। নেতা বেশ কয়েকটি নামও সামনে এসেছে। গ্রেফতার হয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। তার পর থেকেই নিয়োগের তদন্ত নতুন মোড় নিয়েছে বলে মনে করছে ইডি। সুজয় এক সময়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি অফিসে কাজ করতেন। সেই গ্রেফতারির পরই ইডি ডিরেক্টরের কলকাতায় আসা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: RG Kar Medical College | বদলির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফের স্বপদে আরজি করের অধ্যক্ষ
কীভাবে চাকরি চুরির কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছিল, স্ক্যানারে থাকা সংস্থার ডিরেক্টরকে সুজয়কৃশ্ণের মুখোমুখি বসিয়ে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ হবে বলেই জানা যাচ্ছে। আগামী শনিবার কলকাতাতেই আয়কর দফতর সহ একাধিক দফতরের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে কালো টাকা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠকে বসার কথাও ইডি ডিরেক্টরের। আগামিদিনের রণকৌশল, রূপরেখা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা, খবর ইডি সূত্রে।
ইডি সূত্রে খবর, রাজ্যের ইডির দায়িত্বে থাকা তদন্তের কাজ কত দূর এগিয়েছে। বর্তমানে সেই কেশ গুলোর কী অবস্থায় রয়েছে, তা জানতেই কলকাতায় এসেছেন ইডি প্রধান। পাশাপাশি, রাজ্যে যে সমস্ত তদন্তকারী দল তদন্ত করছে, তারা প্রয়োজনীয় সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন কি না এবং রাজ্যে ইডির পরিকাঠামোগত কী কী অভাবপূরণের প্রয়োজন, তা জানতে কলকাতায় সঞ্জয় মিশ্র।