স্কুল কর্তৃপক্ষ বলেছিল, ইরান সরকারের পক্ষে একটি জনসভায় ছাত্রীদের যেতে হবে। উল্টে সেই ছাত্রীরা সমবেত হয়ে স্কুল চত্বরেই ইরানের একনায়কতন্ত্রী প্রশাসকের মৃত্যু চাই বলে দাবি করে। একইসঙ্গে তারা নারী স্বাধীনতার দাবিতেও সরব হয়। তাতেই রেগে অগ্নিশর্মা ইরানের পুলিশ। নির্বিচারে সেই স্কুলছাত্রীদের উপর সেখানকার পুলিশ ও নীতিবাগিশদের অত্যাচার শুরু হয়। পুলিশের অত্যাচারে জখম এক ছাত্রীর মৃত্যু হয় হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও কয়েকজন ছাত্রী। বেশ কয়েকজনের কোনও খোঁজ মিলছে না।
ইরানে সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলা একুশ বছরের তরুণী মাসহা আমিনির মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে এক মাস ধরে বিক্ষোভ চলছে। সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন হাজার হাজার নাগরিক। বিক্ষোভ সামাল দিতে পুলিশের গুলিতে ইতিমধ্যেই সেদেশে মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এবার পুলিশি অত্যাচার চলল স্কুলছাত্রীদের উপরেও। স্থানীয় সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার আর্দাবিলে শাহেদ হাইস্কুল ফর গার্লসে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ১৯ ছাত্রীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের মারে ১০ জনের বেশি ছাত্রী আহত হয়েছে। তাদের ফতেমি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় এক ছাত্রীর। অভিযোগ উঠেছে, স্কুলের প্রিন্সিপাল ওজরা ফতেহি ছাত্রীদের বিরুদ্ধে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। পুলিশ আবার অভিভাবকদের হুমকি দিয়েছে যাতে তাঁরা ওই ঘটনা নিয়ে বাইরে কিছু না বলেন। ঘটনা জানাজানি হলে হাসপাতালে ভর্তি ছাত্রীদের মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন সিবিআই, ইডি: খাঁচার তোতা যখন ডাইনোসর হয়ে ওঠে
অন্য একটি সূত্রের খবর, স্কুলের ডেপুটি প্রিন্সিপাল বিক্ষোভরত ছাত্রীদের ভিডিও করছিলেন। সেসময় পুলিশ ও সরকারপন্থী নীতিবাগিশরা সেখানে গিয়ে ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের মারধর করে। ওই স্কুল ছাত্রীদের অধিকাংশেরই বয়স ১৫ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।