নয়াদিল্লি ও চেন্নাই: সব জল্পনা-বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে আজ, মঙ্গলবার মাদ্রাজ হাইকোর্টের (Madras High Court) অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন লেক্ষ্মণা চন্দ্রা ভিক্টোরিয়া গৌরী (Lekshmana Chandra Victoria Gowri)। তামিলনাড়ু বিজেপি ও দলের মহিলা মোর্চার এই নেত্রীকে বিচারপতি করার প্রতিবাদ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একটি আবেদন জমা হয়েছিল। এদিনই সেই মামলা খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি চলাকালীনই বিচারপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যায়।
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও ভূষণ রামকৃষ্ণ গাওয়াইকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বিশেষ বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, আমরা এই আবেদন গ্রহণ করছি না। গৌরী রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে গাওয়াই বলেন, তাঁরও একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শ আছে। কিন্তু, সেটা বিচারপতির আসনে বসার সময় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে না। এই বলে বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, কলেজিয়ামকে আমরা নির্দেশ দিতে পারি না।
আরও পড়ুন: Supreme Court: আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন, উত্তরপ্রদেশ সরকারকে সুপ্রিম নির্দেশ
মাদ্রাজ হাইকোর্টের বার কাউন্সিলের ২১ জন সদস্য সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম এবং রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দিয়ে এই নিয়োগ আটকানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁদের অঊিযোগ, গৌরী বিজেপির মহিলা মোর্চার (BJP Mahila Morcha) সাধারণ সম্পাদক। তিনি অতীতে একাধিকবার খ্রিস্টান ও মুসলিম ধর্ম নিয়ে ঘৃণাভাষণ (Hate Speech) দিয়েছেন। তিনি বিচারপতি নিযুক্ত হলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব হবে। তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠবে। ওই আইনজীবীরা তাঁর নিয়োগে আপত্তি করে মামলাটির দ্রুত শুনানির আবেদন জানান।
তাঁরা আবেদনের সঙ্গে গৌরীর দুটি ইন্টারভিউয়েরর লিঙ্কও দিয়েছেন। ২০১২ সালের ১ অক্টোবর রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের একটি বইয়ে তিনি লেখেন, খ্রিস্টান ধর্মে রূপান্তরিতকরণ সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করছে। আরও অভিযোগ, বিজেপির নেত্রী হিসেবে গৌরী ঘৃণা ভাষণ দিয়ে থাকেন। এরকম মহিলাকে বিচারপতি করা হলে বিচার ব্যবস্থার গায়ে কলঙ্কের দাগ পড়বে।