নয়াদিল্লি: ভারত (India) আগামী কয়েক বছরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম (Third Largest Economy) অর্থনীতির দেশ হবে। বললেন নীতি আয়োগের (Niti Ayog) সিইও বি ভি আর সুব্রমনিয়াম (B V R Subrahmanyam)। তিনি বলেন, নীতি আয়োগের এবারের থিম বিকশিত ভারত খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভারত এই মুহূর্তে খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। জনসংখ্যার নিরিখে শুধু বৃহত্তম দেশই নয় ভারত, এই দেশ এখন পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি। খুব শিগগিরই তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হতে চলেছে।
শনিবার ১১ জন মুখ্যমন্ত্রীকে ছাড়াই দিল্লিতে শুরু হল নীতি আয়োগের বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নেতৃত্বে নীতি আয়োগের অষ্টম গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক হল। এবারের থিম ছিল বিকশিত ভারত ২০৪৭ ভারতের ভূমিকা। যেসব মুখ্যমন্ত্রী ও লেফটেন্যান্ট গভর্নররা এদিনের বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, কেন্দ্র-রাজ্য সহযোগিতার বিষয়ে। অঞ্চল ভিত্তিক পরিকল্পনার বিষয়ে চর্চা হয়েছে। পর্যটন, শহর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এদিনের বৈঠক প্রসঙ্গে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, নীতি আয়োগের বৈঠক খুব ভালো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ দিতে চাই। যেভাবে তিনি টিম ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। তার একটা ঝলক সেখানে দেখা গিয়েছে। তবে যাঁরা এদিন আসেননি সেই প্রসঙ্গে নীতি আয়োগের এগজিকিউটিভ অফিসার বিভিআর সুব্রমনয়িম বলেন, যাঁরা আসেননি তাঁদের ব্যক্তিগত কারণ ছিল। ১১ জন মুখ্যমন্ত্রী আসেননি। কিন্তু অনেকে এসেছিলেন। যাঁরা আসেননি এটা তাঁদের ক্ষতি। অর্ডিন্যান্স ইস্যুকে সামনে রেখে আসেননি অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পশ্চিমবঙ্গে থেকে অর্থমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবকে পাঠানোর কথা বলা হলেও তা মানেনি কেন্দ্র। নীতিশ কুমার, কেসিআরের মতো মুখ্যমন্ত্রীরাও আসেননি।
আরও পড়ুন: নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং জনবিরোধী, তোপ বিজেপির
নীতি আয়োগের (Niti Ayog) বৈঠক বয়কটকারী মুখ্যমন্ত্রীদের (CM) কড়া সমালোচনা করল বিজেপি (BJP)। ওই মুখ্যমন্ত্রীদের সিদ্ধান্তকে দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং জনবিরোধী বলে আখ্যা দিলেন প্রবীণ বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। শনিবারই দিল্লিতে শুরু হয়েছে নীতি আয়োগের পরিচালন পর্ষদের অষ্টম বৈঠক। তার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে এই বৈঠকে দিশা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, নারীর ক্ষমতায়ন, পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ প্রায় একশোটি বিষয়ের উপর আলোচনা হতে চলেছে এই বৈঠকে। সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই এই পর্ষদের সদস্য।