পোল্যান্ড–০ মেক্সিকো–০
আরও একটা নিষ্ফলা ম্যাচ। তবে ঘটনাবহুল। প্রথম ৪৫ মিনিট জঘন্য ফুটবল হয়েছে। বিরক্তিকর, একঘেয়ে, ফ্যাকাসে। কিন্তু শেষ ৪৫ মিনিট অনেক ভাল। এই সময় পোল্যান্ড পেনাল্টি পেল। কিন্তু গোল করতে পারল না। বা বলা যায় পোল্যান্ডকে গোল করতে দিলেন না মেক্সিকোর গোলকিপার গিলেরমো ওচোয়া। ৩৭ বছর বয়সী এই গোলকিপারের এটা পঞ্চম বিশ্ব কাপ। তিনিই দলের অধিনায়ক। কিন্তু বিপক্ষ অধিনায়ক রবার্ট লেয়নডস্কিকে গোল করতে দিলেন না।
ঘটনাটা ৫৮ মিনিটের। একটা দ্রুত কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বলের জন্য মরিয়া হয়ে ছুটছিলেন লেয়নডস্কি। তাঁর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটছিলেন মেক্সিকোর সেন্টার ব্যাক হেক্টর মোরেনো। যখন মোরেনো দেখলেন লেয়নডস্কি তাঁকে ছাপিয়ে বলের কাছে চলে যাচ্ছেন তখন তিনি পিছন থেকে পোলিশ অধিনায়কের জার্সি ধরে টেনে তাঁকে ফেলে দিলেন। অস্ট্রেলিয় রেফারি ক্রিস বিথ নিশ্চিন্ত ছিলেন ওটা পেনাল্টি। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তকে নির্ভুল করতে তিনি ভার-এর সাহায্য নিলেন। এবং ভার জানিয়ে দিল ওটা পেনাল্টি। তখন পোল্যান্ড আধিনায়ক পেনাল্টি মারতে গেলেন। আর তা রোখার দায়িত্বে মেক্সিকো অধিনায়ক। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে শয়ে শয়ে গোল করা অধুনা বার্সেলোনা স্ট্রাইকারের বিশ্ব কাপে এখন পর্যন্ত গোল নেই গোল নেই। ২০১৮-র বিশ্ব কাপে তিন ম্যাচে কোনও গোল নেই। অথচ দেশের হয়ে ১৩৫টি ম্যাচে ৭৬টি গোল করা হয়ে গেছে তাঁর। সেটা ৭৭ হত যদি এদিন স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ তিনি পেনাল্টি থেকে গোলটা করতে পারতেন। পেনাল্টি নেওয়ার সময় একটু নার্ভাস লাগছিল তাঁকে। শেষ পর্যন্ত তাঁর ডান পায়ের শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে সেভ করলেন ওচোয়া। সোনার সুযোগ নষ্ট হল।
ওদিকে দুর্দান্ত খেললেন পোল্যান্ডের গোলকিপা উজেইক সেজেনেস্কি। মেক্সিকোর ফরোয়ার্ডদের পা থেকে বেরনো বহু শট তিনি বাঁচালেন, যা থেকে গোল হতে পারত। সব মিলিয়ে দুই গোলকিপারই নায়ক। তবে ফুটবলের তো আসল কথা হল গোল। সেটা আর হল কোথায়? সি গ্রুপের ম্যাচের এই ফলে সুবিধে হল আর্জেন্তিনার। বাকি দুটো ম্যাচে তারা যদি মেক্সিকো আর পোল্যান্ডকে হারাতে পারে তাহলে চলে যাবে প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে। মেসিরা কি পারবেন সেই সুযোগটা নিতে?