রানাঘাটে সোনার দোকানের ডাকাতরা কল্যাণীতে ভাড়া থাকছিল

রানাঘাট: রানাঘাট (Ranaghat) স্বর্ণ বিপণি (Glod Showroom) কেন্দ্রে ডাকাতির সঙ্গে যুক্তরা কল্যাণীর (Kalyani) বি ব্লকের এক ভাড়া বাড়িতে থাকতো। এরা বিহারের (Bihar) বৈশালী এলাকার বাসিন্দা। গোপাল সাউ নামে এক ব্যক্তির দুটো ছোট ঘর নিয়ে ভাড়া থাকতো। বর্ধমান যাদব ও করমদীপ যাদব । আর এই ভাড়া ঘর দুটিতেই প্রতিনিয়ত ৮ থেকে ১০ জনের আসা যাওয়া ছিল এদের কাছে। ইতিমধ্যেই পাঁচজন গ্রেফতার হয়েছে। বাকি তিনজন এখনো অধরা। প্রশ্ন উঠছে কোথা থেকে এই মোটরবাইকগুলি তারা জোগাড় করেছিল এবং একটি বিহারের নম্বর লাগানো গাড়িরও খোঁজ মেলেছে। কাদের মাধ্যমে কীভাবে এখানে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিল পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

জানা গিয়েছে পুলিশের (Police) গুলিতে আহত হয়েছে ২ দুষ্কৃতী। শোরুমে ডাকাতির ঘটায় প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে।মঙ্গলবার দুপুরে রানাঘাটের একটি স্বর্ণ বিপণির দোকানে ঢুকে সোনার গহনা ও নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন দুপুরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো রানাঘাটে।

আরও পড়ুন: গ্রাম্য বিবাদকে ঘিরে অশান্তি, মৃত এক 

 সূত্রের খবর, রানাঘাট মিশন রোডে মঙ্গলবার দুপুরে ৩ টে নাগাদ একটি সোনার দোকানে হানা দেয় চার জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল। তারা দোকানের সিকিউরিটি গার্ডকে মারধর করে ভিতরে ঢুকে দোকানের কর্মীদের পিস্তল দেখিয়ে দোকান থেকে প্রায় সমস্ত রকমের সোনার গহনা ও ক্যাশ কাউন্টার থেকে নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। দোকানের কর্মীদের দাবি, দুষ্কৃতীরা নগদ ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পালানোর সময় গুলি ছুড়তে ছুড়তে যায় দুষ্কৃতীর দল। পাল্টা পুলিশের পক্ষ থেকে গুলিছোড়া হলে দুজন দুষ্কৃতী আহত হয়। তাদেরকে নিয়ে আসা হয় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে। এখন পর্যন্ত মোট চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট থানার পুলিশ।