Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeখেলাRanji Trophy Final 2023: রঞ্জি ফাইনালের এখন একটাই স্লোগান-‘ফাইট বাংলা ফাইট’

Ranji Trophy Final 2023: রঞ্জি ফাইনালের এখন একটাই স্লোগান-‘ফাইট বাংলা ফাইট’

Follow Us :

কলকাতা: ম্যাচ রিপোর্ট লিখতে বসে ‘চক দে ইন্ডিয়া’ (Chak De India)- সিনেমায় শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) ডায়লগটা মনে পড়ছে ভীষণ- ‘সত্তর মিনিট…সত্তর মিনিট হ্যায় আপকে পাস…শায়েদ তুমহারে জীবন কে সবসে খাস সত্তর মিনিট।’ মনে মনে ভাবছি বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary) জীবনের সম্ভবত শেষ রঞ্জি ফাইনাল (Ranji Trophy Final) খেলছেন। দু’দিন মিলিয়ে মোট ৬টা সেশন। তাঁর ক্রিকেটীয় কেরিয়ারের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ৬টা সেশন। এরজন্য নিজেকে যে উজার করবেন মন্ত্রীমশাই সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তৃতীয় দিনের শেষ দুটি সেশনে দাঁতে-দাঁত চেপে যেভাবে লড়াই করলেন তাতে অতীতের ভিন্টেজ মনোজকে একঝলক পাওয়া গেল বলা যেতেই পারে। ভি-শট, লেট কাট, গ্লান্স, স্কোয়ার কাট-নানান অলঙ্কারে সাজানো তাঁর অপরাজিত ৫৭ রানের ইনিংস। পেসের গতিকে যেভাবে কাজে লাগিয়ে কাউস কর্নার দিয়ে বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেন সেটা দেখে মনে হবে না তিনি তাঁর ক্রিকেটীয় কেরিয়ারের একেবারে সায়াহ্নে। বরং মনে হবে মধ্য যৌবনের মাদকতায় উদ্বেল! এই মাদকতার তীব্রতা আরও বাড়ুক। রবিবাসরীয় ইডেন সাক্ষী থাকুক এক অনাবিল ক্রিকেটীয় রোমান্সের! 

আজ ম্যাচ শেষে বাংলার সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। কেউ কোনও প্রশ্ন করবে না মনোজকে। সবাই চায় আজকের রাতটা অন্য জোনে থাকুক বাংলা অধিনায়ক। শুধু নিজের ব্যাটিং নিয়ে ভাবুক। ব্রেকিং নিউজের দুনিয়ায় এধরনের উদ্যোগকে প্রশংসা না করে পারছি না। তবে মুখ খুললেন বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা। বলে গেলেন, ‘ম্যাচ যতক্ষণ পর্যন্ত না শেষ হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনও দল না হারছে, না জিতছে। একটাই কথা বলার বাংলা লড়বে। এখনও সময় আছে। যা হবে ভালোই হবে বাংলার জন্য।’

আরও পড়ুন: Ind-Aus 2nd Test: অজি স্পিনার লিয়ঁর ভেল্কিতে দিল্লিতে ধরাশায়ী টিম ইন্ডিয়া 

সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু দুটি শব্দ বলে গেলেন, ‘খেলা হবে’। ‘আগামিকাল সারাদিন বাংলাকে ব্যাট করতে হবে। তবেই একমাত্র বাংলার জেতার রাস্তা খুলতে পারে’-ইডেন ছাড়ার আগে বলে গেলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার শরদিন্দু মুখোপাধ্যায়।

তৃতীয় দিনের শেষে ১৩ রানে অপরাজিত থাকা শাহবাজ আহমেদের নিকট আত্মীয় ইডেনে এসেছিলেন খেলা দেখতে। শাহবাজের জন্য দোয়া করার অনুরোধ রাখলেন প্রত্যেকের কাছে।বাংলার প্রাক্তন কোচ অরুণ লাল শাহবাজ আহমেদকে এই দলের হিরো বলেছিলেন। আগামিকাল শাহবাজের ‘হিরোইজম’ দেখানোর পালা। যাতে চতুর্থ দিনের খেলা শেষে অরুণ লাল আরও একবার বলে উঠতে পারেন-‘সাবাস শাহবাজ!’

এদিন ৪০৪ রানে অল আউট হয়ে যায় সৌরাষ্ট্র। বাংলার বোলাররা আজকের বোলিংটাই যদি ম্যাচের দ্বিতীয় দিন করতেন, তাহলে এই মুহূর্তে বেশ ভালো জায়গাতেই থাকত বঙ্গব্রিগেড। তবে দু্টো জিনিসের উল্লেখ করতেই হবে-

প্রথমত, এত ক্যাচ মিস করে রঞ্জি ফাইনাল জেতা যায় না।

দ্বিতীয়ত, কোনও চ্যাম্পিয়ন দলের ওপেনিং ব্যাটারদের এতো ফ্লপ হতে দেখা যায় না। এই ফাইনালে অভিষেক করা সুমন্ত গুপ্তর কথা যদি ছেড়েও দেই, অভিমণ্যু ঈশ্বরণকে ছাড়ি কি করে? রঞ্জি ফাইনালের মতো বড় মঞ্চে নিজেকে মেলে ধরতে পুরোপুরি ব্যর্থ। বড় মঞ্চে নিজেকে উজাড় করতে না পারলে কীসের তুমি সেরা?

তৃতীয় দিনের শেষে বাংলার স্কোর ১৬৯/৪। সৌরাষ্ট্রের থেকে এখনও ৬১ রানে পিছিয়ে বাংলা। অনুষ্টুপ মজুমদারেরও সম্ভবত শেষ রঞ্জি ফাইনাল এটা। ৬১ রানের ইনিংস খেলে যখন প্যাভিলিয়নের দিকে ফিরছিলেন, তখন ইডেন সম্মান জানাতে ভুলল না। বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা এগিয়ে গেলেন। আবেগবিহ্বল হয়ে চোখ ভিজে আসছে অনুষ্টুপের! একটা পুরনো হিন্দি গানের অনুরণন বাজছে কানে- ‘আভি না যাও ছোড় কর, কে দিল আভি ভরা নেহি…’

RELATED ARTICLES

Most Popular