বেশ কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর আটক করা হল কর্নাটকের লিঙ্গায়ত গোষ্ঠীর তীর্থক্ষেত্রের সমতুল চিত্রদুর্গার মুরুঘা মঠের প্রধান শিবমূর্তি মুরুঘা শরণারুকে। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে পকসোয় মামলা রুজু করেছে। দুই নাবালিকার মধ্যে একজন দলিত হওয়ায় এই মামলার সঙ্গেই তফসিলি জাতি-উপজাতির উপর অত্যাচারের আইন সংযুক্ত করেছে পুলিশ।
অভিযোগ, দুই হাইস্কুল পাঠরতা নাবালিকাকে যৌন হেনস্তা করেছেন। যদিও এ বিষয়ে কর্নাটকের বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সত্য উদ্ঘাটন হবে। যদিও মূল অভিযোগের প্রসঙ্গে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা এই অভিযোগকে মিথ্যা বলে জানিয়েছেন।
কর্নাটক, মহারাষ্ট্র ও তেলঙ্গানায় শৈবসাধক লিঙ্গায়ত গোষ্ঠীর এক বিরাট ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। তাই বিজেপি-কংগ্রেস-সহ প্রায় সব দলই তাদের সমঝে চলে। শুধুমাত্র কর্নাটকেই প্রায় ১ কোটি ৫৮ লক্ষেরও বেশি লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ রয়েছেন। রাজ্যের ১৩৫টি কেন্দ্র লিঙ্গায়ত গোষ্ঠীর ভোটেই নিয়ন্ত্রিত হয়। তাই সময়ে সময়ে বিজেপি এবং কংগ্রেস নেতারা এই গোষ্ঠীর সাধুসন্তদের আশীর্বাদ নিতে যান। যেমন, কিছুদিন আগে রাহুল গিয়েছিলেন চিত্রদুর্গার এই প্রধান সন্ন্যাসীর কাছে।
অভিযোগের বিরুদ্ধে শিবমূর্তি বলেছেন, এটা একটা গভীর চক্রান্ত। খুব শীঘ্রই তা বেরিয়ে আসবে। মহীশূরের একটি অসরকারি সংস্থা পুলিশের কাছে প্রথম অভিযোগ দায়ের করে। এই সংস্থাটি পকসোয় ক্ষতিগ্রস্ত নাবালিকাদের পুনর্বাসনের কাজ করে। তাদের অভিযোগ, মঠ পরিচালিত মেয়েদের স্কুলের দুই নাবালিকার সঙ্গে যৌন হেনস্তা করা হয়েছে। মঠের প্রধান ছাড়াও এক সন্ন্যাসী ও হস্টেল ওয়ার্ডেনের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে।