নয়াদিল্লি: রাজ্যের প্রাপ্য টাকা এবার থেকে রাখা হবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কে (Reserve Bank)। এত দিন রাজ্য সরকারের (Gov of West Bengal) বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা সরসরি হাতে পাওয়া যেত। কেন্দ্রের (Central Goverment) তরফে যে টাকা আসত রাজ্যে, তা তোলা থাকত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কে (Commercial Banks)। বিভিন্ন প্রকল্পের নামে অ্যাকাউন্টও রয়েছে ওই ব্যাঙ্কে। কেন্দ্রের তরফে সরাসরি প্রকল্পভিত্তিক টাকা আসত রাজ্যের হাতে। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই সেই প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আসতে চলেছে। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যের প্রাপ্য টাকা রাখা থাকবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কে (Reserve Bank)। প্রয়োজনে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকেই টাকা তুলতে হবে রাজ্য সরকারকে।
রাজ্য সরকারের যখন প্রয়োজন হবে, টাকা তখনই তোলা যাবে। তবে আগের মতো অ্যাঙ্কাউন্টে টাকা ফেলে রাখা যাবে না। প্রকল্প ভিত্তিক টাকা ব্যয় করতে পারবে রাজ্য সরকার। নতুন নিয়মে এক প্রকল্পের টাকা অন্য প্রকল্পে ব্যয় করা যাবে না, কারণ রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে সব হিসাব দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এই নিয়ম শুধু পশ্চিমবঙ্গের জন্য নয়, অন্যান্য রাজ্যের ক্ষেত্রের প্রযোজ্য হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, ভাঙচুর আমতলা দলীয় কার্যালয়ে
কেন্দ্রের তরফে ইতিমধ্যেই সব রাজ্যকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে, ট্রেজারির সিঙ্গল অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকল্পগুলোর টাকা পরিচালিত করা হবে। সূত্রের খবর, প্রতিটি মন্ত্রকে একটি করে কেন্দ্রীয় নোডাল এজেন্সি তৈরি করা হবে। তারাই রিজার্ভ ব্যাঙ্কে রাজ্যের নামে অ্যাকাউন্ট খুলবে। বাজেটে বরাদ্দ টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মারফতই পাবে রাজ্যগুলো। এক্ষেত্রে রাজ্যের তেমন সমস্যা না হলেও বিভ্রাটে পড়তে পারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলো। কেন্দ্রের তরফে বিপুল অঙ্কের টাকা আচমকাই বন্ধ হয়ে গেলে সমস্যায় পড়বে রাজ্যের ব্যাঙ্কগুলো।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি সব রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক বাংলাকেও এই বিষয় লিখিত ভাবে জানিয়েছে। বাংলাকেও নোডাল এজেন্সি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের সব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে হবে। অন্যদিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কে খুলতে হবে নতুন অ্যাকাউন্ট।
প্রসঙ্গত, এ রাজ্যের বিরোধী দলের অভিযোগ এক প্রকল্পের টাকা অন্য খাতে ব্যবহার করছে তৃণমূল। তা নিয়ে একাধিকবার কেন্দ্রকে চিঠিও দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের জন্য মিড-ডে মিলের টাকা ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। রাজনৈতিক মহলের মত, এ কারণেই রাজ্যের বরাদ্দ টাকা কেন্দ্র রিজার্ভ ব্যাঙ্কে দেওয়ার সিদ্বান্ত নিয়েছে।