Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeচতুর্থ স্তম্ভFourth Pillar | টিপু সুলতান, বিজেপি এবং কর্নাটকের নির্বাচন  

Fourth Pillar | টিপু সুলতান, বিজেপি এবং কর্নাটকের নির্বাচন  

Follow Us :

আর কিছুদিন পরেই কর্নাটকের নির্বাচন। এমনিতেই যাবতীয় প্রচেষ্টার পরেও বিজেপি এখনও দাক্ষিণাত্যে এক গোয়া ছাড়া খুব একটা সুবিধে করে উঠতে পারছে না। কেরল হাতের বাইরে, তামিলনাড়ুতে দাঁত ফোটানো সহজ নয়, অন্ধ্রতে তৃতীয় শক্তি, তেলঙ্গনায় দ্বিতীয় হওয়ার চেষ্টা চলছে। ওড়িশায় বিজেডির সামনে এখনও অনেকটাই দুর্বল বিজেপি, মহারাষ্ট্রে শিন্ডেকে নিয়েও বিজেপি যে খুব কনফিডেন্ট, তাও নয়। আর কর্নাটকে গত কয়েকটা বিধানসভার ফলাফল দেখলেই বোঝা যাবে বিজেপি ভোটের পরে ম্যানেজ করে ক্ষমতায় এসেছে, কিন্তু তার নিজের ক্ষমতায় সরকার তৈরি করতে পারেনি। মোটের ওপর দাক্ষিণাত্য এখনও আরএসএস–বিজেপির ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছে। কিন্তু এবার তো শুধু বিধানসভার নির্বাচন নয়, এ নির্বাচনের প্রভাব তারপরের তিনটে নির্বাচনে পড়বে, রাজস্থান, ছত্তিশগড় আর মধ্যপ্রদেশে। এ নির্বাচনে বিজেপি জিতলে বাকিগুলোতেও অ্যাডভান্টেজ বিজেপি এবং তারপরেই ২০২৪-এর মহাভারত। কাজেই কর্নাটকের নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এবং মাথায় রাখুন বিজেপি এমন এক রাজনৈতিক দল যারা একটা মিউনিসিপালিটি ভোটও লোকসভা ভোটের মতোই গুরুত্ব দিয়ে দেখে, একটা নির্বাচন শেষ হলে তারপরের নির্বাচনের কাজ শুরু করে, তারা স্বাভাবিকভাবেই এই নির্বাচন নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে। 

ইদানিং বিজেপির নির্বাচনী প্রচারের কনটেন্ট আমাদের জানা, কীভাবে তা হবে, কোন কোন বিষয় উঠে আসবে তা আমরা জানি। কোনও রাজ্যের নির্বাচন সামনে। প্রচার কীভাবে শুরু হবে? প্রথমেই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর পর বেশ কয়েকবার সেই রাজ্যে যাবেন, বড় বড় কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন আর ঘোষণা করবেন। এরও মাসছয়েক, কি বছরখানেক আগে থেকে সিবিআই, ইডি, ইনকাম ট্যাক্স যাবে, বিরোধী দলের নেতাদের ঘরে ঢুকবে, মিডিয়াতে খবর হবে, চোর, চোর চোর হ্যায়। আচ্ছা এইখানে একটা কথা মাথায় রাখবেন, সবসময়ে এই ইডি, সিবিআই-এর অভিযানের একরকম মানে হয় না। ধরুন তেলঙ্গনা, ইডি দৌড়বে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দলের দিকে, ওখানে কংগ্রেসের দিকে যাবে না। বাংলায় মমতার দিকে, ইউপিতে সমাজবাদী দলের দিকে, দিল্লিতে আপের দিকে, মধ্যপ্রদেশ বা রাজস্থানে কিন্তু কংগ্রেসের দিকে। একটা ধারণা তৈরি হবে, বিজেপি ছাড়া সব্বাই চোর। এরপর মোদিজি দারুণ কাজ করছেন অতএব তার প্রকল্পের উদ্বোধন আর ঘোষণা, নির্বাচন আরও খানিক কাছে আসলেই হিন্দু-মুসলমান, আর দেশপ্রেম এর বান ডাকবে। মনেই হতে পারে অন্য কিচ্ছু ইস্যু নয়, ইস্যু হল রাহুল গান্ধীর দেশবিরোধী বিবৃতি, ইস্যু হল একটা মসজিদ, মন্দির বা কোনও ঐতিহাসিক চরিত্র। হলফ করে বলতে পারি ২০২৪-এর নির্বাচনের ইস্যু দারিদ্র নয়, বৈষম্য নয়, বেকারত্ব নয়, ছাটাই লে অফ নয়, গন্ডায় গন্ডায় গুজরাতি ট্রেডারদের দেশের টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়া নয়, ইস্যু হবে রামমন্দিরের উদ্বোধন। 

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | সাংবাদিক, ফিল্ম মেকার, অভিনেতা জেলে, মেহুল ভাই মজে মে হ্যায় 

এই ফর্মুলা ধরেই চলুন কর্নাটকে। ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স এখানে খুব সুবিধে করতে পারেনি কারণ এখানে দুর্নীতির বড় অভিযোগ বিজেপির নেতাদের বিরুদ্ধে, তাঁরাই সরকার চালাচ্ছেন। হিজাব বিতর্ক আবার তোলা হচ্ছে, বাজারে মাথায় ফেট্টি পরা বজরঙ্গ দলের লোকেরা ঘুরে বেড়াচ্ছে হালাল মাংস বিক্রি করতে দেব না। এদিকে উদ্বোধন, উদঘাটনের পালা শুরু হয়ে গেছে। সেই ছক অনুযায়ী এক মাসের মধ্যেই দ্বিতীয়বার মোদিজি কর্নাটকে, বেঙ্গালুরুতে। এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনে। অনুষ্ঠানকে বেশ জাঁকজমকপূর্ণ করার জন্য যা যা করার দরকার তা করা হল। বিশাল বিশাল তোরণ বানানো হল। কারণ কেবল কাজ করলেই তো হবে না, লোগো কো দিখনা চাহিয়ে, মানুষের মাথায় তো ঢোকাতে হবে যে কাজ করা হচ্ছে। এ রোগ তো কেবল মোদিজির তাই নয়, দেশের প্রত্যেক নেতার এই রোগ আছে, ১০ হাতের কালভার্ট উদ্বোধনের জন্য চার কিলোমিটার জুড়ে মাইক লাগানো হয়। তো মোদিজির এই উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে ৪টে বিশাল তোরণ তৈরি করা হল। প্রথমটা তৈরি হল কেম্পেগৌড়ার নামে, তিনি ভোক্কালিঙ্গা কমিউনিটির একজন রাজপুরুষ, তাঁর বীরত্বের কাহিনি কর্নাটকের মানুষের মুখে মুখে ঘোরে। ১৫৩০ থেকে ১৫৫৮ পর্যন্ত তিনি এই বেঙ্গালুরু অঞ্চলের রাজা ছিলেন। গত নভেম্বরেই মোদিজি কেম্পেগৌড়ার এক বিশাল মূর্তির আবরণ উন্মোচন করার পরে জানিয়েছিলেন, বেঙ্গালুরুকে কেম্পেগৌড়ার স্বপ্ন অনুযায়ীই সাজানো হবে। 

দ্বিতীয় তোরণ কৃষ্ণরাজা ওডিয়ার, যিনি ১৯০২ থেকে ১৯৪০ পর্যন্ত মাইসোরের রাজা ছিলেন, লন্ডনে ১৯৩০-এ গোল টেবিল বৈঠকেও হাজির ছিলেন। নিজামের পর তিনিই ছিলেন দেশের সবচেয়ে বিত্তবান রাজা। তৃতীয় তোরণ এম বিশ্বেসরৈয়া, ইনি মাইসোরের দিওয়ান ছিলেন, ছিলেন একজন স্থপতি, ১৫ সেপ্টেম্বর, ওনার জন্মদিন আমাদের দেশে ইঞ্জিনিয়ার্স ডে হিসেবে পালন করা হয়। চতুর্থ যে তোরণটা বানানো হয়, তা ছিল উরিগৌড়া আর নানজিগৌড়ার নামে। এনারা কে? কোন ইতিহাসে এনাদের পাওয়া যায়? কবে এনারা হাজির হলেন তা নিয়ে কথা বলছি কিন্তু তার আগে হঠাৎ করে এই ঐতিহাসিক মানুষজনদের তোরণ কেন বানানো হল সেটা নিয়ে দুটো কথা বলে নিই। কর্নাটকে হিন্দু সমুদায়েরই দুই গোষ্ঠী লিঙ্গায়েত আর ভোক্কালিঙ্গাদের বিরাট প্রভাব। এদের কারওর একজনের বা দুই সমুদায়ের অনেকটা সমর্থন না হলে সরকার বানানো সম্ভব নয়। ধরুন হারদানাহাল্লি ডোড্ডেগৌড়া দেবেগৌড়া মানে হারদানাহাল্লি গ্রামের ডোড্ডেগৌড়ার ছেলে দেবেগৌড়া ছিলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী, কর্নাটকের মূখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। তাঁর ছেলে হারদানাহাল্লি দেবেগৌড়া কুমারস্বামী কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, এনারা হলেন ভোক্কালিঙ্গা। মানে ওই যে কেম্পেগৌড়ার কথা বললাম, মাইসোর, বেঙ্গালুরুর কাছাকাছি অঞ্চলে এই ভোক্কালিঙ্গাদের প্রভাব বেশি, দেবেগৌড়ার দল জেডিএস এই অঞ্চল থেকেই ২২টা আসন পেয়েছে। আবার আগের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরিয়াপ্পা, তিনি ছিলেন লিঙ্গায়েত গোষ্ঠীর, তাঁকে সরিয়ে যাঁকে আনা হল সেই বাসবরাজ বোম্মাইও লিঙ্গায়েত গোষ্ঠীর। বিজেপি খুব ভালো করেই জানে যে বাসবরাজ বোম্মাইকে সামনে রেখে লিঙ্গায়েত ভোট আসবে না, বা যতটা আসবে তাতে জয় সুনিশ্চিত নয়, কাজেই ভোক্কালিঙ্গাদের ভোট চাই। আবার মোদি–শাহ এটাও জানেন যে ভোক্কালিঙ্গাদের ভোট খানিক পাবেই দেবেগৌড়ার দল বা কংগ্রেস, কাজেই এক প্রবল হিন্দু-মুসলমান মেরুকরণ এই ভোট ভাগাভাগি আটকাতে পারে, তখন হিন্দু খতরে মে হ্যায় বলে লিঙ্গায়েত আর ভোক্কালিঙ্গাদের এক জায়গায় আনা যাবে। সেই কাজের জন্যই আরএসএস–মোদি-শাহ নেমে পড়েছেন। 

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | ২১ মার্চ, জরুরি অবস্থার অবসান এবং আরএসএস  

মাত্র ২০২২-এ বেঙ্গালুরুতে একটা নাটক মঞ্চস্থ করা হল, নাম ‘টুপু নিজা কানাসুগালু’ টিপুর প্রকৃত স্বপ্ন। এর আগে ১৯৯৭তে গিরীশ কার্নাড একটা নাটক মঞ্চস্থ করেন, নাম ছিল টিপু সুলতান কাণ্ড কানাসু, টিপু সুলতানের স্বপ্ন, তো এই নতুন নাটক ছিল গিরীশ কার্নাডের নাটকের জবাব। গিরীশ দেখিয়েছিলেন টিপু একজন প্রজাবৎসল রাজা, তিনি একজন ধর্মনিরপেক্ষ শাসক, ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হন এবং শ্রীরঙ্গপত্তনমের যুদ্ধেই মারা যান। নতুন নাটকটিতে টিপু সুলতানকে একজন মুসলমান রাজা, একজন নিষ্ঠুর রাজা, হিন্দু আর খ্রিস্টানদের জবরদস্তি ধর্মান্তরণের নির্দেশ দিয়েছেন এমন রাজা হিসেবে দেখানো হয়েছে এবং শেষে দুই চরিত্র এসে হাজির, উরিগৌড়া, নানজিগৌড়া। ভোক্কালিঙ্গা সম্প্রদায়ের এই দুই যোদ্ধাই নাকি টিপু সুলতানকে হত্যা করে। সে ইতিহাসের প্রমাণ কোথায়? অমুক কবি বলেছেন, তমুকের মুখে শোনা ইত্যাদি, কিন্তু টিপু সুলতান তো সেদিনের কথা, যুদ্ধের যাবতীয় নথি তো এখনও আছে। মজার কথা হল ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়ছিলেন টিপু সুলতান, কিন্তু ইংরেজদের পক্ষে কারা ছিল? ইতিহাস বলছে সেদিন ইংরেজদের পক্ষে ছিল মারাঠারা এবং নিজামরা। আরও মজার কথা হল, টিপুর ঘনিষ্ঠ কিছু যোদ্ধা, সেনাধ্যক্ষ এক মির সাদিকের বিশ্বাসঘাতকতার জন্যই টিপু সুলতান হেরে যান। এই বিরাট জয়ে ইংরেজরা এতটাই খুশি হয়েছিল যে বিটেনে পাবলিক হলিডে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু আপাতত রাজ্যে বিজেপির প্রচার, টিপুকে মেরেছিলেন উরিগৌড়া, নানজিগৌড়া, যাদের ঐতিহাসিক অস্তিত্ব নিয়েই যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। যে দুটো ছবি উরিগৌড়া বা নানজিগৌড়ার বলে নেটে ভেসে বেড়াচ্ছে তাঁরা হলেন পেরিয়া মারুধু আর চিন্না মারুধু, যাঁরা তামিলনাড়ুর দুই রাজা, লড়েছিলেন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে। আবার দেখুন ধর্ম নিয়ে কী খেলা এই আরএসএস–বিজেপি, মোদি–শাহরা খেলছেন, চারটে তোরণ, কোথায়? বেঙ্গালুরুতে, সেখানে টিপু সুলতান নেই, সেখানে কল্পনায় নায়করা হাজির, হিন্দু যোদ্ধারা হাজির। শেষ করার আগে টিপু সুলতানের ইতিহাসের একটা অংশ শোনাব। 

১৭৯১, মারাঠা–মাইসোর যুদ্ধ। রঘুনাথ রাও পটবর্ধনের নেতৃত্বে মারাঠারা এলেন মাইসোর দখল করতে, তার বহু আগেই তাঁদের আটকে দেওয়া হল। যুদ্ধে পরাজিত সেই মারাঠা বাহিনী যাওয়ার পথেই ছিল শৃঙ্গেরি শংকরাচার্যের মঠ, মারাঠা সৈন্যরা সেই মঠে লুটপাট চালায়, মন্দির ভাঙে, মানুষজনদের ওপর অত্যাচার চালায়, এমনকী অবাধে হত্যালীলাও চলে। মঠের তৎকালীন শংকরাচার্য টিপুকে চিঠি লেখেন, টিপু সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সাহায্য করেন, মন্দির পুনর্নির্মাণেরর জন্য টাকা দেন, এবং মঠের সন্ন্যাসীদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করেন। মঠের শংকরাচার্যের লেখা অন্তত ৩০টা চিঠি পাওয়া যাচ্ছে এবং তার জবাবে টিপুর লেখা চিঠিও পাওয়া যাচ্ছে। তিনি লিখছেন, “People who have sinned against such a holy place are sure to suffer the consequences of their misdeeds at no distant date।” যারা এই পবিত্র স্থানে এই অন্যায় পাপকর্ম করে গেল, তারা অচিরেই এই কাজের শাস্তি পাবে। হ্যাঁ, এটাই ছিলেন টিপু সুলতান, একজন ধর্মনিরপেক্ষ রাজা। এবং স্বাভাবিক কারণেই তিনি আরএসএস–বিজেপির কাছে ব্রাত্য এবং পরিত্যাজ্য। ভোট আসছে কর্নাটকে, হিন্দু-মুসলমান কাজিয়ার বন্দোবস্ত করতে নেমে পড়েছে আরএসএস–বিজেপি।     

 

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Sera 10 | আমি তৃণমূলে ছিলাম, আছি, তৃণমূলেই থাকার চেষ্টা করব: কুণাল
15:56
Video thumbnail
Jelar Saradin | দেখে নিন জেলার সারাদিনের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি...
10:41
Video thumbnail
Stadium Bulletin | টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারত উঠতে পারবে?
14:43
Video thumbnail
ধর্মযুদ্ধের দামামা | Dharmajuddha Damama | এক মঞ্চে তাপস-কুণাল! বিজেপি প্রার্থীর প্রশংসা
15:51
Video thumbnail
Tmc | তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে বচসা, মারামারি
03:22
Video thumbnail
Kunal Ghosh | সুদীপের প্রচারে না থাকলেও, ভোটের মধ্যেই একমঞ্চে তাপস ও কুণাল
06:42
Video thumbnail
Kunal Ghosh | কুণালের পাশে তাপস, সুদীপকে খোঁচা
06:42
Video thumbnail
৪টেয় চারদিক | 'EVM কারা তৈরি করল? কারা চিপ তৈরি করল?' ভোট বৃদ্ধি নিয়ে কমিশনকে নিশানা মমতার
50:24
Video thumbnail
Mamata Banerjee | তীব্র গরমে জনসভা থেকে কী বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, দেখুন ভিডিও
02:18
Video thumbnail
TMC-BJP | যোগীর সভায় যোগ দেওয়ার 'অপরাধ', বিজেপি নেতাকর্মীদের 'মারধরের' অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
03:01