Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeআন্তর্জাতিকChina Stole US Military Data: চীনের বিরুদ্ধে ‘মার্কিন সামরিক প্রযুক্তি’ তথ্য চুরির...

China Stole US Military Data: চীনের বিরুদ্ধে ‘মার্কিন সামরিক প্রযুক্তি’ তথ্য চুরির গুরুতর অভিযোগ

Follow Us :

ওয়াশিংটন: আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের (US Defence Experts) দাবি, মার্কিন সামরিক প্রযুক্তি (US Military Tech) নকল করেছে চীন। সেই কারণে তাদের হাতে অত্যাধুনিক (Advanced) ফাইটার জে-২০ (Fighter J-20) বিমান এসেছে। পঞ্চম-প্রজন্মের (Fifth-Generation) এই লড়াকু বিমান তৈরি করার জন্য মার্কিন প্রযুক্তি ডেটা (US Tech Data) চুরি করেছে চীন (China)। আমেরিকার আশঙ্কা, এর বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ না গ্রহণ করলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর (US Military) জন্য ভবিষ্যতে বড় চ্যালেঞ্জ আসতে পারে।   

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেদেশের প্রাক্তন অ্যাক্টিং সেক্রেটারি অব ডিফেন্স ফর পলিসি জেমস অ্যান্ডারসন (James Anderson, Former Acting Under Secretary of Defence for Policy) বলেছেন, চীন বছরের পর বছর ধরে চৌর্যবৃত্তি (Espionage Acts) করে প্রচুর লাভবান হয়েছে। তারা সেটাকে ভালোই কাজে লাগিয়েছে এবং উন্নত পঞ্চম প্রজন্মের লড়াকু বিমান তৈরি করেছে। তাঁর আরও অভিযোগ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক তথ্য চুরি (Military Data Theft) করার জন্য গুপ্তচরবৃত্তির কৌশল (Espionage Techniques) প্রয়োগ করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। ঘুষ কৌশল (Bribery Technique) অত্যাধুনিক সাইবার অ্যাক্টিভিটিতে (Advanced Cyber Activity) যুক্ত মার্কিন ঠিকাদার এবং সরকারি আধিকারিকদের (US contractors and Government Officials) অবলম্বন করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করেছে তারা। 

আরও পড়ুন: India vs Australia: ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ এবং ৭৫ বছরের নস্ট্যালজিয়া 

অ্যান্ডারসনের বক্তব্য, মার্কিন প্রযুক্তিগত তথ্য চুরি করায় চীনের সময় এবং অর্থ (Time and Money), দু’টিই বেঁচেছে। কিন্তু আমেরিকার জন্য তা উদ্বেদের বিষয়। কারণ, আমেরিকার প্রযুক্তি নকল করে চীন তাদের সামরিক বিমানবহরে (Military Fleets) উন্নতি ঘটিয়েছে, তা একদিন যুদ্ধক্ষেত্রে মার্কিন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে। প্রাক্তন অ্যাক্টিং সেক্রেটারির বক্তব্য, দুই দেশের সামরিক বাহিনীর শক্তির মধ্যে যে পার্থক্যটা ছিল, তা বৌদ্ধিক চুরির (Intellectual Theft) কারণে কমে এসেছে।

এশিয়া মহাদেশের (Asia Continent) দেশ চীন তাদের প্রথম ফাইটার জেট তৈরি করেছে ২০০৮ সালে, যা মার্কিন সামরিক বাহিনীর সঙ্গে পাল্লা দিতে সক্ষম বলে গণ্য করা হয়। ২০১১ সালে প্রথমবার জে-২০ ফাইটার বিমান বিশ্বের সামনে এনেছে বেজিং (Beijing)। এরপর, ২০১৭ সালে তা চীনের বায়ুসেনাতে যুক্ত করা হয়েছে। তারপর থেকে এই বিমানে প্রযুক্তিগত উন্নতি ঘটিয়েছে চীন। গত এক দশকে চীন এই বিমানের মডেলে উন্নতি ঘটালেও মূল নকশা ও নির্মাণ কৌশলে মার্কিন অনুকরণের ছাপ রয়েছে বলে আমেরিকার দাবি। ২০১৫ সালে এই নিয়ে একাধিক রিপোর্ট বেরিয়েছিল। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল, চীন এবং আমেরিকার ফাইটার জেটের সক্ষমতায় অনেক মিল রয়েছে। এমনও অভিযোগ উঠেছিল, চীন অনুকরণ করেছে মার্কিন প্রযুক্তিকে। এদিকে, তাইওয়ানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে বৈদেশিক সম্পর্কে অবনতি হয়েছে। তাইওয়ানকে চীন নিজের ভূখণ্ড বলে মনে করে। গত বছর থেকে তারা তাইওয়ানকে (Taiwan) যুদ্ধের হুমকিও দিয়ে আসছে। এরই মাঝে তাইওয়ান নিজেও ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বিমান বহর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমী দুনিয়ার বড় শক্তি। এই জায়গায় নিজেদের শক্তি বৃদ্ধিতে চীন গত একদশক ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক মহলে এই নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রসিকতাও করেছে, চীন কবে নিজেদের দেশীয় প্রযুক্তিতে জেট ইঞ্জিন তৈরি করবে? গত বছর ইয়ানজু শু (Yanju Xu) নামে এক ৪২ বছরের চীনা গোয়ান্দা অফিসারকে আমেরিকান বিমান এবং মহাকাশ সংস্থা থেকে কৌশলে তথ্য চুরির দায়ে ২০ বছরের জন্য কারাদণ্ড (Sentenced 20 Years in Prison) দিয়েছে মার্কিন আদালত।

(* চীনের বিরুদ্ধে আমেরিকার এই অভিযোগের সত্যতা কলকাতা টিভি অনলাইন যাচাই করেনি)

RELATED ARTICLES

Most Popular