তাইওয়ানকে যদি চীন আক্রমণ করে তাহলে আমেরিকা অবশ্যই দ্বীপরাষ্ট্রকে রক্ষা করার জন্য আপ্রান চেষ্টা চালাবে। সরাসরি জানিয়ে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ( Joe Biden)। আমেরিকার অত্যন্ত জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠানে রবিবার সম্প্রচারিত সাক্ষাৎকারে একথা জানান তিনি। অবশ্য ওয়াশিংটনের দাবি, বাইডেন-এর এই বক্তব্যে তাইওয়ান সম্পর্কে তাঁদের অবস্থান বদলের কোনও ইঙ্গিত নেই। কারণ গত বছরের অক্টোবরেও সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তাইওয়ান প্রসঙ্গে একই কথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
চলতি বছরের অগাস্ট মাসে মার্কিন সংসদের স্পিকার ন্যান্সি পাওয়েল-এর তাইপেই সফরের পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় বেজিং। আর তার কয়েকদিনের মধ্যেই তাইওয়ান সীমান্তে চীনা বিমান বাহিনীর টানা দাপাদাপি যথেষ্ট প্রতিক্রিয়া তৈরি করে আন্তর্জাতিক মহলে। অবশ্য আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞদের দাবি, আমেরিকা যদি তাইওয়ানের পাশে দাঁড়াতে এতটাই দৃঢপ্রতিজ্ঞ হয় তাহলে বাস্তবে সে রকমই কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
অবশ্য সে পদক্ষেপ ইতিমধ্যে নিতে শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট। কিছুদিন আগেই চীনের সঙ্গে সংঘাতের পারদ আরও চড়িয়ে তাইওয়ানকে কয়েকশো কোটি ডলার-এর সামরিক সাহায্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় আমেরিকা। মার্কিন সংসদের সংশ্লিষ্ট সেনেট কমিটি ওই ব্যাপারে রীতিমত আইন তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেনেট কমিটির সিদ্ধান্ত, আগামী চার বছরে সাড়ে চারশো কোটি ডলারের সামরিক সাহায্য পাঠানো হবে। যা বেজিংয়ের উদ্বেগ বাড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট। পাশাপাশি তাইওয়ান নীতি বিষয়ক আইন-এর বিলটি দ্রুত কার্যকরী করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
ওই আইনের ভিত্তিতে তাইওয়ানকে ন্যাটো (Nato) বহির্ভূত গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সহযোগী হিসাবে ঘোষণা করছে আমেরিকা। চীন বরাবরই তাইওযানকে তাদের দেশের আওতাভুক্ত একটি প্রদেশ হিসাবেই দেখাতে চায়। আর সেজন্যই আন্তর্জাতিক স্তরে দ্বীপরাষ্ট্রকে কোনওরকম স্বীকৃতি দেওয়ার তীব্র বিরোধী। বেজিংয়ের এই আপত্তিকে অগ্রাহ্য করে ইতিমধ্যে তাইওয়ানের রাজধানীতে দূতাবাস তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার পরিণতিতে দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা আর স্নাযুর চাপ আরও তুঙ্গে উঠবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।